অফিসে অবশ্যই মেনে চলুন সাধারণ কিছু এটিক্যাট বা শিষ্টাচার

কর্মক্ষেত্রে কোন কোন শিষ্টাচার আপনাকে মেনে চলতে হবে আজ এই বিষয়ে আলোচনা করবো।

অফিসে অবশ্যই মেনে চলুন সাধারণ কিছু এটিক্যাট বা শিষ্টাচার
অফিসে অবশ্যই মেনে চলুন সাধারণ কিছু এটিক্যাট বা শিষ্টাচার


কর্মক্ষেত্রে শুধু কাজ করলেই কি হয়? কাজের পাশাপাশি আপনার ভদ্রতাও সমান দরকারী। কর্মক্ষেত্রে সফলতার জন্যে কাজের সাথে সাথে আপনার বাহ্যিক আচরণ ও সমান গুরুত্বপূর্ণ।


আপনার কলিগের সাথে আপনার আচার ব্যবহার, আপনার নিজের চলাফেরা সবই কিন্তু লক্ষ্যনীয়। আজ এই বিষয় নিয়েই আলোচনা করবো কি কি এটিক্যাট অবশ্যই আপনাকে অফিসে মেনে চলতে হবে।


কুশল
বিনিময় -  

সকালে অফিসে ঢুকেই আপনার কলিগের সাথে কুশন বিনিময় করুন। গুড মর্নিং দিয়ে কেমন আছেন জানতে চাইতে পারেন।  এতে করে আপনার সাথে আপনার কলিগের মধ্যে সুন্দর একটা সম্পর্ক বজায় থাকবে।


আর এই সুসম্পর্কের খাতিরে কাজের অনেক কথা হতে পারে, যা থেকে আপনি অনেক কিছু শিখতেও পারেন যেটা আপনার ক্যারিয়ারে কাজে আসতে পারে। 


পরিষ্কার
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন- 

একটা অফিসে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খুবই আবশ্যক একটি ব্যাপার। অফিসে আপনি যেই টেবিলে বসছেন সেটা সব সময় গুছিয়ে রাখুন, চারপাশটা পরিষ্কার রাখুন। ডেস্কের পাশে ছোট বিন রাখুন, ব্যবহৃত টিস্যু ডেস্কে জমিয়ে না রেখে বিনে ফেলুন।


এখন বেশির ভাগ অফিস ওপেন প্লেইসে হয়ে থাকে তাই আপনার ডেস্কের জিনিষপত্র যাতে আপনার পাশের কলিগের ডেস্কে জায়গা না নিয়ে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । অফিসের ওয়াশরুম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা বজায় রাখুন। অন্যথায় আপনার এলোমেলো অপরিষ্কার স্বভাব দেখে আপনার সম্পর্কে নেগেটিভ মনোভাব তৈরি হবে যা কোন অফিসে একদম কাম্য নয়।

হোম অফিসের জন্য দরকারি কিছু নিয়ম কানুন জেনে নিন

কঠোর পরিশ্রম এবং চাতুর্যপূর্ণ কাজের মধ্যে পার্থক্য

যেভাবে চাকুরী জীবনে ধনী হবেন - দরকার সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন

কীভাবে টাইম মেনেজমেন্ট করে স্মার্ট ওয়ার্ক করবেন?

সফলতা পেতে হলে এইগুলি ভুলেউ করবেন না


গসিপ
করা থেকে দূরে থাকুন-

অফিসে গসিপ করা এক ধরনের কর্পোরেট অপরাধ বলে ধরা হয়।  অফিসে বিভিন্ন ধরনের মানুষ কাজ করে, সবার চলাফেরা একই হবে এমনটা ভাববেন না, তাই সেগুলো নিয়ে অন্য কলিগের সাথে গসিপও করবেন না। বা কারো উন্নতিতে পাশের কলিগের সাথে কুরুচিপূর্ণ উক্তি করবেন না।


এতে করে আপনাকে উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলার যথেস্ট সম্ভাবনা তৈরী হতে পারে। দেখা যাবে আপান্র এই কাজে উল্টো আপনার সম্পর্কেই ভুল ধারণা সৃষ্টি হতে পারে।


সম্মান
প্রদর্শন করুন-

অফিসে প্রতিটি কলিগকে সমান সম্মান করুন, হোক তা বয়সে বড় কিংবা ছোট অথবা উচ্চ বা নিম্ন পদের কেউ। আজকাল নারীরাও পুরুষ থেকে এগিয়ে নেই,  তাও এখনও অনেক অফিসেই নারীর সেই সম্মান অর্জন করে নিতে অনেক বেগ পেতে হয়।


মনে রাখবেন একজন নারীর সাথে আচরণেই আপনার বংশের পরিচয় ফুটে উঠে। তাই অফিসে মিটিং এ বসার আগে আপনার মেয়ে কলিগকে আগে বসতে দিন, ডাইনিং এ অফিসের মেয়েদের আগে খেতে দেওয়ার সুযোগ করে দিন এতে করে কোনভাবে আপনি ছোট হবেন না  বরং সবার চোখে আপনি একজন ভদ্র মানুষ বলে পরিচিত হবেন । আপনার প্রতি সম্মানটা আরো বাড়বে ।


ডেস্কে
খাবার নয়-

অনেক সময় তাড়াহুড়ো করে ঘর থেকে বের হওয়ার তাগিদে ঠিক মতো সকালে নাস্তা করা হয় না,  দেখা যায় অফিসে এসে ব্রেকফাস্ট করা লাগছে,  সে ক্ষেত্রে আপনার ডেস্ক যদি কমন বা ওপেন প্লেইসে হয়ে থাকে তাহলে আপনার ডেস্কে খাবার খাবেন না, যদি ক্যান্টিন বা ডাইনিং থেকে থাকে তাহলে সেখানেই খাবার সেরে ফেলুন।


অন্যথায় খাবারে গন্ধে আপনার পাশের কলিগদের অসুবিধা হতে পারে। যেখানে বসে খাবেন সেখানে খাবার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আসবেন না , খাওয়া শেষে টিস্যু দিয়ে জায়গাটা ক্লিন করে আসবেন। সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনার কোন কাজে আপনার সহকর্মীর যাতে কোন অসুবিধা না হয়।


সঠিক
পোশাক নির্বাচন করুন-  

অফিসে পোশাক নির্বাচনে সতর্ক হোন। অতিরিক্ত ক্যাজুয়াল বা উগ্র সাজে অফিসে যাবেন না। একজন ক্লায়েন্ট যেমন আপনাকে দুই ফিতার স্যান্ডেলে দেখতে পছন্দ করবে না তেমনি বিয়ে বাড়ির সাজ দিলেও পছন্দ করবে না। তাই অফিসে সব সময় একটা মার্জিত লুক থাকা প্রয়োজন।


ছেলেরা ফরমাল শার্ট প্যান্ট - বাহিরে কোন ক্লায়েন্টের সাথে মিটিং থাকলে সাথে একটা ব্লেজার পরতে পারেন, কাজের পাশাপাশি আপনার লুক দিয়েও কিন্তু ক্লায়েন্টকে আকৃস্ট করতে হবে। মেয়েরা শাড়ী, কামিজ - শার্ট-প্যান্ট পরতে পারেন।


মোবাইল
সাইলেন্ট রাখুন-  

আপনার ডেস্কে মোবাইল সাইলেন্ট রাখুন যাতে করে আপনার ফোন বেজে উঠলে আপনার পাশে কলিগ ফোনের আওয়াজে বিরক্ত না হয়। আর হ্যাঁ মিটিং এটেন্ড করতে সময় তো অবশ্যই মোবাইল সাইলেন্টে রাখবেন। বা একান্ত প্রয়োজনে মোবাইলের সাউন্ড কমিয়ে রাখুন।


মিটিং এ ফোন চলে আসলে যদি খুব জরুরী ফোন হয়ে থাকে যেটা না ধরলেই নয় অনুমতি নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে কল পিক করুন। অন্যথায় বাকি সদস্যদের বিরক্তির কারন হয়ে দাড়াতে পারেন।


সঠিক
টাইম মেইনটেইন করুন-

অফিসে সব সময় টাইমমতো প্রবেশ করুন। চেস্টা করুন ১৫ মিনিট আগে অফিসে প্রবেশ করার কারন অফিসে এসে ডেস্কে বসার আগে একটু ফ্রেশ হয়ে নেওয়া জরুরী তাই হাতে কিছু টাইম নিয়ে রাখা ভালো। তেমনি আপনার হাতের কাজও টাইম অনুযায়ী জমা দিন এতে করে আপনার সম্পর্কে কোন নেগেটিভ ধারণা জন্মানোর অবকাশ থাকবে না।


উপরের এই ছোট খাটো কিন্তু খুব গুরুত্বপূর্ণ আদব কায়দাগুলো কাজের পাশাপাশি মেনে চললেই দেখবেন আপনার কর্মক্ষেত্রে আপনার একটি ভালো জায়গা বজায় থাকবে।