অর্থ উপার্জনে ভালো কন্টেন্ট লেখার সঠিক দিকনির্দেশক - উত্তম কন্টেন্ট এর প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণ
ইন্টারনেটে আজকাল অর্থ উপার্জনের দ্বার উন্মোচিত হয়ে আছে অনেক রকমের। কিন্তু সবাই সব দ্বার দিয়ে ঢুকতে সক্ষম হচ্ছেন না। এর মুল কারণ হলো সাথে সাথে কিছু পাওয়ার আশা করা। অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে হলে প্রয়োজন যথেষ্ট ধৈর্য আর সময়ের। অনেকের মাঝেই এর অভাব লক্ষ্য করা যায়। অধৈর্য হয়ে কোন কাজে আত্বনিবেশ করলে, তার ফলাফল শুভ হয় না। যে কোন কাজের ভালো একটা সুফল পেতে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। অদম্য ইচ্ছে আর মানসিক শক্তি নিয়ে আগালে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফলাফল শুভ হয়ে থাকে। অনলাইনে অর্থ উপার্জন ও এর ব্যাতিক্রম কিছু নয়।

অনলাইনে কন্টেন্ট লিখে অর্থ উপার্জন করার অনেক পদ্ধতি আমি আমার আগের লেখাগুলোতে বর্ননা করেছি। কিন্তু আমার বন্ধুগন অনলাইনে ভালো একটি কন্টেন্ট এর প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণ নিয়ে কিছু লিখতে প্রায়ই আমাকে অনুরোধ করে থাকেন। আজ তাদের উদ্দেশ্যেই লিখতে বসেছি।
আশা করি যারা অনলাইনে কন্টেন্ট লিখে অর্থ উপার্জন করতে ইচ্ছে পোষন করেন আমার এই লেখা তাদের জন্য বেশ সহায়ক হবে। তারা ইতিপূর্বে তাদের কন্টেন্ট গুলোর ভুল শুদ্ধ খুঁজে বের করতে সক্ষম হবেন আর ভালো কন্টেন্ট লিখে অর্থ উপার্জনের পথ প্রস্বস্ত করতে পারবেন।
অনলাইনে কন্টেন্ট লিখে অর্থ উপার্জন করতে হলে আপনার প্রথমেই প্রয়োজন হবে একটি ব্লগ খোলার। তবে ব্লগ কি আর কিভাবেই তা খুলতে হয় আগে তা জানা দরকার। ব্লগ হলো সহজ ভাষায়, একটি ডায়েরি কিংবা বই এর মত। যেখানে আপনি আপনার নিজের যাবতীয় কিছু লিখে রাখতে পারেন।
তবে আজকাল ডিজিটাল যুগে ব্লগ বলতে শুধু ডায়েরি কিংবা বইই নয়, ব্লগ হতে পারে আপনার হাতে রাখা মোবাইল কিংবা ডেস্কে রাখা একটি কম্পিউটার অথবা বহনযোগ্য একটি ল্যাপটপ, ট্যাব ইত্যাদি।
এসব মাধ্যমে আপনি একটি ব্লগ খুলে সেখানে আপনার নিজস্ব ধ্যান ধারণা নিয়ে যে কোন কিছু লিখে আবার তা প্রচার কিংবা পোস্টও করতে পারেন। যে নির্দিষ্ট স্থানে কোন কিছু লিখে সেই লেখা আবার পোস্ট করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সেই স্থানটিই হলো ব্লগ।
আরও পড়ুনঃ শুরুতেই অনলাইনে অর্থ উপার্জনের ইচ্ছে আপনার স্বপ্নকে ম্লান করে দিতে পারে
আজকে আমার আলোচনার বিষয় একটি ভালো কন্টেন্ট এর প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণ। তাই অন্য বিষয়ে তেমন কিছু লিখতে চাই না। এবার মুল প্রসঙ্গে আসা যাক।
ব্লগে কি কি বিষয়ের উপর লিখতে হয়?
আপনি ব্লগে যে কোন বিষয়ের উপরই কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। তবে সমসাময়িক কালের কিছু লিখলে ভালো পাঠক আকৃষ্ট করতে সক্ষম হবেন।
একটি ভালো কন্টেন্ট এর প্র্যাক্টিক্যাল উদাহরণ।
মনে করুন আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে আপনার ব্লগে একটি কন্টেন্ট লিখবেন। সেই কন্টেন্ট কিভাবে লিখলে যথেষ্ট পাঠক আকৃষ্ট করবে আর আপনি অনেক ভিউ পাবেন তার একটি নমুনা উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করছি।
(হেডলাইন) আধুনিক মোবাইল প্রযুক্তি।
(বিবরণ) মোবাইল ফোন কি?
মোবাইল ফোন -দুটি চলনশিল ডিভাইস কিংবা একটি চলনশিল অন্যটি স্থির যা যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয় এরুপ ডিজাইনকৃত ডিভাইসই হলো মোবাইল ফোন। সহজে ব্যবহার ও বহনযোগ্য মানে যে কোন স্থানে এটি নিয়ে মুভ করা যায় অর্থে মোবাইল শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
মাল্টিমিডিয়া ফোন - যে মোবাইলে মোবাইল কল এর পাশাপাশি আরও অনেক রকমের কাজ করা যায়, সেই মোবাইল ফোনকে মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন বলা হয়ে থাকে। মোবাইল ফোনে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী ব্যবহার করা হয়। গ্রহণ ও প্রেরণ যন্ত্রের এই ডিভাইসে একটি মাইক্রো সিমকার্ডের সাহায্যে যে কোন স্থানে অডিও ভিডিও কল সহ মাল্টিমিডিয়ার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যায়। তাই আধুনিক মোবাইল ফোনকে মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন নামেও অভিহিত করা হয়।
চলনশিল ডিভাইসকে মোবাইল ফোন আর স্থির ডিভাইসকে বেস স্টেশন বা land unit বলা হয়ে থাকে।
সেলুলার ফোন - আবার মোবাইল সেবাপ্রদানকারিগন বা মোবাইল অপারেটরগন তাদের রেজ্ঞের আওতাধীন এলাকাগুলোকে সেবা প্রদানের সুবিধার জন্য, অনেক গুলো ছোট ছোট অংশে ভাগ করে। এইরূপ অঞ্চলভিত্তিক ছোট ছোট এক একটি ভাগকে( cell) সেল বলা হয়। অঞ্চলভিত্তিক নামেও আবার মোবাইল ফোনকে ডাকা হয়। মোবাইল ফোনের আরেক নাম তাই সেলুলার ফোন। (cellular phone).
স্মার্ট ফোন -সাধারণ মোবাইল ফোনের চেয়ে অতিরিক্ত সুবিধা আধুনিক মোবাইল ফোনে বিদ্যমান থাকায় একে আবার স্মার্ট ফোনও বলা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুনঃ ঘরে বসে স্মার্টফোন দিয়েই উপার্জন করুন মাসিক ১৫০০০-২০০০০ টাকা: দেখুন কিভাবে
মোবাইল ফোনের ক্রমবিবর্তন।
শুরুর দিকে মোবাইল ফোন একটি বিলাসিতা হিসেবে দেখা গেলেও বর্তমানে তা আর বিলাসিতা নয়। এখন মোবাইল ফোন মানুষের জীবনে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস হিসেবে বিবেচিত।
মোবাইল ফোন সীমিত আকারে ১৯৯৭ সালের দিকে দেশে আত্বপ্রকাশ করে। বাংলাদেশে সিটি সেলই প্রথম মোবাইল অপারেটর হিসেবে কাজ শুরু করে। কিন্তু সিটি সেলের ছিল কিছু সীমাবদ্ধতা। তারা মোবাইল সিমকার্ড বিক্রি করার লাইসেন্স পায়নি। সিটিসেল তাদের মোবাইলে cdma প্রযুক্তি ব্যবহার করে। দ্বিতীয় প্রজন্মের ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম হলো cdma. ১৯৯৯ সালে CDMA তৃতীয় প্রজন্মে প্রবেশ করে।
তবে সীমাবদ্ধতার কারণে বেশিদূর অগ্রসর হতে সিটিসেল সমর্থ হয় নি। সিটিসেল মোবাইলে বর্তমানের মত কোন সিমকার্ড ব্যবহার করা যেত না।
নির্দিষ্ট কিছু সেটের ভেতরই রিমকার্ড সংযোজিত থাকত। ফলে মোবাইল গ্রাহকেরা তাদের পছন্দসই মোবাইল সেট কিনে ব্যবহার করতে অসমর্থ হত। কোন বিকল্প না থাকায়, অনিচ্ছা থাকা সত্বেও গ্রাহকেরা নির্দিষ্ট করা মোবাইল সেট কিনতে বাধ্য হত।
মোবাইল প্রযুক্তি -
বর্তমানে মোবাইলে ৩জি, বা থার্ড জেনারেশন, ৪জি প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
থার্ড জেনারেশন মোবাইল প্রযুক্তির বিশেষত্ব-
এতে সহজেই ছবি কিংবা ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। ইন্টারনেট সক্রিয় থাকে সবসময়। EDGE পদ্ধতি কার্যকর থাকায় ডাটা স্থানান্তর সহজেই সম্ভব হয়।
থার্ড জেনারেশন মোবাইল প্রযুক্তিতে -
ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভয়েস ও ডাটা আদান-প্রদান করা যায়।
যে কোন স্থান থেকে সহজেই ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায়।
সবসময়ই ইন্টারনেট কানেকশন বিদ্যমান থাকে।
চতুর্থ জেনারেশন মোবাইল প্রযুক্তি -
চতুর্থ জেনারেশন মোবাইল প্রযুক্তির উল্লেখযোগ্য বৈশিস্ট হলো -
চতুর্থ জেনারেশন মোবাইল প্রযুক্তির ক্ষমতা থার্ড জেনারেশন মোবাইল প্রযুক্তি অপেক্ষা প্রায় ৫০ গুন বেশী।
এতে 4G স্পিড মানে 10 MBPS ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হয়। আইপি নির্ভর ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেমে কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ নতুনদের জন্য অনলাইনে বাংলা আর্টিকেল লিখে অর্থ উপার্জনের সহজ পদ্ধতি
গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, এয়ারটেল, ওয়ারিদ ও টেলিটক
পরবর্তীতে গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, এয়ারটেল, টেলিটক এবং ওয়ারিদ নামে আরও পাঁচটি মোবাইল অপারেটর এই মোবাইল প্রযুক্তির সাথে যুক্ত হয়। তবে ওয়ারিদও সিটিসেলের মত বেশী পথ পরিক্রম করতে পারে নি।
বর্তমানে চালু মোবাইল অপারেটর হলো গ্রামীণ ফোন, বাংলা লিংক, এয়ারটেল, রবি, টেলিটক ইত্যাদি।
প্রথম দিকের মোবাইল ফোন হিসেবে শুধু বাটন ফোনই ব্যবহৃত হতো। বাটন মোবাইল ফোনে শুধু অডিও কল আর মেসেজে ক্ষেত্রভেদে মাল্টিমিডিয়া মেসেজে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হতো। অন্য কোন কাজ বাটন মোবাইল ফোনে করা সম্ভব ছিল না।
বর্তমানে স্মার্ট ফোন কিংবা মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন সেই অভাব অনেকাংশেই দূর করতে সক্ষম হয়েছে। এখন মোবাইল ফোন একটি কম্পিউটারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অডিও ভিডিও ছবি সহ কল করা যায়। ইন্টারনেটের সাহায্যে হাতের আংগুলের স্পর্শে সারা ভুবনে বিচরণ করা যায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই।
ভিডিও চ্যাট ও গ্রুপ মেসেজিং
আধুনিক মোবাইল ফোন দিয়ে সহজেই ভিডিও চ্যাট ও গ্রুপ মেসেজিং করা যায়। ছবি আদান-প্রদান, ইউটিউব, ফেসবুক চালনা গান শোনা ও দেখা, নাটক, সিনেমা দেখা যায়। শুধু যোগা যোগ মাধ্যমই নয় মোবাইল ফোন, মোবাইল ফোন বর্তমানে শিক্ষা ও বিনোদনের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।
মোবাইল ফোনের সুবিধা
- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।
- মোবাইলে ইন্টারনেট কানেকশন সরবরাহ করে অনলাইনে শিক্ষামুলক পাঠদান ও অনলাইন ক্লাসে অংশ গ্রহণ করা যায়।
- খবর, নাটক, সিনেমা শোনা ও দেখা যায়। নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হওয়া যায়। ফেসবুক, ইউটিউব পরিচালনা করা যায়।
- যে কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়।
- ব্যাবসা বানিজ্যের প্রসারেও মোবাইল ফোনের গুরুত্ব অপরিসীম।
মোবাইল ফোনের অসুবিধা
- অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারে মোবাইল আসক্তি তৈরি হয়। এতে স্বাভাবিক কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটে।
- দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে কথপোকথনে চোঁখ ও কানের ক্ষতি হতে পারে।
- মোবাইল ফোনের কারণে অর্থের অপচয় হয়। কারণ আগে যখন মোবাইল ফোন ছিল না, তখন মানুষ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে বাড়ি ফিরত।
- আর বর্তমানে আগে মোবাইলে লোড, পরে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রয়োজন বিবেচনা করে অনেকেই। অত্যাবশকীয় কোন ব্যায়কে কাটছাঁট করে মানুষ মোবাইল ফোন ক্রয় করে থাকে। কিন্তু কখনও মোবাইল ফোনের খরচ কমিয়ে অত্যাবশকীয় পন্য ক্রয়ের কথা ভাবে না।
- শিশুদের জন্য মোবাইল ফোন অত্যান্ত ক্ষতিকর। মোবাইল ফোন শিশুদের বড়দের চেয়েও দ্রুত আসক্তি তৈরি করে।
- শিশুরা মোবাইল ফোনে ভিডিও গেমের প্রতি বেশী আকৃষ্ট হয়ে যায়। এতে শিশুর ঘুম ও খাওয়া দাওয়ায় ভীষণ ব্যাঘাত ঘটে।
- লেখাপড়ার উপর শিশু আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অনেক সময় শিশু উদ্ভট আচরণ করতে শুরু করে।
- মোবাইল ফোন শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের অন্তরায়।
মোবাইল ফোনের কিছু সাধারণ সমস্যা ও তার সমাধান।
(ক) মোবাইল ফোনের সমস্যা।
আপনি অনেক মুল্য দিয়ে মার্কেট থেকে একটি মাল্টিমিডিয়া মোবাইল ফোন কিনে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই দেখলেন যে ফোন ব্যবহারে আপনার ত্রুটি দেখা দিচ্ছে।
যেমন ঘন ঘন মোবাইল হ্যাংগ হয় যাচ্ছে। অনেক সময় কমান্ড কাজ করতে দেরি হচ্ছে। আবার হতে পারে ফোনের গ্যালারি ঠিক মত কাজ করছে না কিংবা কোন ছবি আপনি তুলতে ব্যার্থ হচ্ছেন।
অনেক সময় ফোনে নেটওয়ার্ক পাচ্ছে না। ইন্টারনেট মাঝে মাঝেই ছেড়ে দিচ্ছে ইত্যাদি।
আবার আপনার শখের মোবাইল ফোনটি হারিয়ে বা চুরি হয়েও যেতে পারে। তখন আপনার মনটা স্বাভাবিক ভাবেই খারাপ হবে বৈকি?
(খ) মোবাইল ফোনের সমস্যার সমাধান।
মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে -
আপনার মোবাইল ফোনের আইএমই নাম্বার দেখুন। যেহেতু ফোনটি আপনার কাছে নেই তাই ফোনের ক্যাটালগ বই থেকে আই এম ই নাম্বার নিন। আপনার ই-মেইলে বিস্তারিত উল্লেখ করে আই এম ই নাম্বার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে জানিয়ে দিন।
সাথে সাথেই মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান আপনার মোবাইল ফোনটি স্থায়ীভাবে অকার্যকর করে দেবে। কোন ভাবেই কেও আর আপনার হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করতে সমর্থ হবে না।
আর সিমকার্ডের জন্য যে অপারেটর এর সিমকার্ড আপনি ব্যবহার করেছেন, সেই অপারেটরকে ফোন করে আপনার সিমকার্ডটি অকার্যকর করতে অনুরোধ করুন। আপনি একই নাম্বারে আর একটি নুতন সিমকার্ড নিয়ে নিন।
মোবাইলে নেটওয়ার্ক না পেলে-
আপনার মোবাইলের সিমকার্ডটি খুলে ফেলুন। পাঁচ মিনিট পরে আবার সিমকার্ড সংযোজন করুন। ব্যাস এটুকুই।
মোবাইলে ছবি তোলা না গেলে -
সেটিংস এ যান। স্টোরেজ দেখুন। দেখুন যে আপনার মোবাইল আর মেমোরি কার্ডে জায়গা আছে কি না? যদি জায়গা না থাকে তবে কিছু ইমেজ ও অপ্রয়োজনীয় ভিডিও ডিলিট করুন।
গ্যালারির ছবি দেখা না গেলে -
আপনার মোবাইলটি রিস্টার্ট দিন। সেটিংস দেখুন। সেটিংস এর কমান্ডগুলো ঠিক করুন। যদি তাতেও কাজ না হয় বুঝতে হবে যে,আপনার মেমোরি কার্ডে সমস্যা রয়েছে। মেমোরি কার্ড পরিবর্তন করুন। আশা করি এতেই আপনি চিন্তা মুক্ত হবেন।
মাঝে মাঝে ইন্টারনেট কানেকশন অফ হয়ে গেলে -
আপনি যদি গুগল ক্রম ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন, তবে ব্রাউজার আপডেট করুন। সাথে সাথে আপনার মোবাইল আপডেট ভার্শনে আছে কিনা তাও চেক করুন। মোবাইল ফোন সফটওয়্যার আপডেট না থাকলে, আপডেট দিন। এরপরে রিস্টার্ট দিন।
মোবাইলে রিংটোন শোনা না গেলে -
সেটিংস এ যান। দেখুন যে রিং টোন মিউট করা আছে কি না? মিউট অফ করুন। এই কাজটি আপনি ম্যানুয়ালিও করতে পারেন।
নিজের মোবাইলের ব্যালেন্স জানা
আপনি সারাদিনে মোবাইল ব্যবহার করে কি পরিমাণ অর্থ ব্যায় করেছেন, তা আবার মেসেজের মাধ্যমে জেনে নিতে সক্ষম হবেন। যেমন -
গ্রামীণ ফোন - *৫৬৬#,
বাংলা লিংক হলে- *১২৪#,
টেলিটক গ্রাহক হলে- *১৫২#,
এয়ারটেল গ্রাহক হলে- *৭৭৮#,
রবির গ্রাহক হলে - *২২২# চেপে সেন্ড করে
আপনি আপনার মোবাইল ব্যালেন্স জেনে নিতে সক্ষম হবেন।
কোড উল্লেখ করে নিজের মোবাইল নাম্বার জানা
অনেক সময় নিজের মোবাইল নাম্বারটিও মনে করতে যাদের কষ্ট হয়, তাদের সুবিধার জন্য কয়েকটি মোবাইল অপারেটরের কোড উল্লেখ করছি, যে কোড দিয়ে আপনি অনায়াসে আপনার মোবাইল নাম্বারটি মুহূর্তেই জেনে নিতে সক্ষম হবেন।
গ্রামীণ ফোনের মোবাইল নাম্বার জানতে -
*2# তারপর সেন্ড।
বাংলা লিংক - *511# সেন্ড।
টেলিটক - *551# সেন্ড।
এয়ারটেল - *121*7*3# সেন্ড।
রবি - *140*2*4# সেন্ড।
এভাবে আপনি আপনার মোবাইল নাম্বার মুহূর্তেই জেনে নিতে পারবেন।
উপসংহার
মোবাইল ফোন আমাদের জীবনের এক অত্যাবশকীয় উপাদান হিসেবে মিশে আছে। দুদিন আগে যা ছিল কল্পনারও অতীত, তা আজ সবার হাতে হাতে।
তথ্য আদান-প্রদান করতে মোবাইল ফোনের জুড়ি নেই। আগে শুধু কথপোকথন কাজে মোবাইল ব্যাবহৃত হলেও বর্তমানে সবধরনের মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।
মোবাইল এখন মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আছে।
শেষ কথা
উপরের আলোচনা থেকে হয়তো পাঠক বুঝতে পেরেছেন যে একটি ভালো কন্টেন্ট কিভাবে লিখতে হয়। ভালো কন্টেন্ট লিখে আপনি চাইলে সহজেই কিছু অর্থ উপার্জন করতেও সক্ষম হবেন।
তাই আর দেরি কেন? আপনার হাতে যদি কিছু সময় থেকে থাকে, তবে সেই সময় অলস না কাটিয়ে অনলাইনে কন্টেন্ট লিখতে থাকুন আর বাড়তি কিছু অর্থ উপার্জন করুন।
অবশ্য এর জন্য আপনার বিশেষ কোন যোগ্যতা থাকার দরকার নেই। আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে যে কোন কন্টেন্ট লিখে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
তবে আপনার লেখার বিষয়বস্তু সঠিক ভাবে নির্বাচন করাটা অত্যন্ত জরুরী। যুগের চাহিদা অনুযায়ী আপনার লেখার আইটেম নির্বাচন করুন। অলস সময় বসে না থেকে তাকে কাজে লাগান। ধন্যবাদ।