আপনার শিশুকে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম পাড়ানোর কিছু দারুন উপায়

আপনি কি আপনার শিশুর ঘুম নিয়ে চিন্তিত? শিশু কি আপনাকে খুব বিরক্ত করে? প্রকৃতি গত ভাবে তার মধ্যে ঘুমের জোর অনুপস্থিত? চিন্তা করবেন না আমরা আজ সমাধান দিব আপনার এই সকল সমস্যার।আর তাই আমরা আজ আলোচনা করব কিভাবে শিশু প্রকৃতি গত ভাবে ভাল ঘুমাতে পারে। পড়তে থাকুন পুরো পোস্টটি।

আপনার শিশুকে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম পাড়ানোর কিছু দারুন উপায়
আপনার শিশুকে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম পাড়ানোর কিছু দারুন উপায়


কিছু কিছু শিশু আছে যারা ঠিক মত ঘুমায় না। দিন বা রাত সব সময় মা কে বিরক্ত করে। তাদের ঘুমের জন্য মা বাবাও অনেক সময় দুশ্চিন্তা করেন। তাছাড়া মায়ের ঘুম ভাল না হলেয়াও কিন্ত আবার শিশুর কেয়ার করতে সমস্যা হবে। আবার অনেক সময় শিশু ঠিকমত না ঘুমানোর কারনে পিতামাতা ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়ে থাকেন। ডাক্তার সুবিধামত শিশুকে ওষুধ ও পরামর্শ দেয়ার চেষ্টা করেন। 


আপনি কি আপনার শিশুর ঘুম নিয়ে চিন্তিত? শিশু কি আপনাকে খুব বিরক্ত করে? প্রকৃতি গত ভাবে তার মধ্যে ঘুমের জোর অনুপস্থিত? চিন্তা করবেন না আমরা আজ সমাধান দিব আপনার এই সকল সমস্যার।আর তাই আমরা আজ আলোচনা করব কিভাবে শিশু প্রকৃতি গত ভাবে ভাল ঘুমাতে পারে। পড়তে থাকুন পুরো পোস্টটি। 


শিশুকে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম ভাল হওয়ার কিছু উপায় জেনে নিন

ছোট বড় সকলের পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর খারাপ হয়ে যায়। সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি আপনার শিশুর পর্যাপ্ত ঘুমক না হয়, তাহলে তার স্মৃতিশক্তি, মানসিক স্বাস্থ্য এবং শেখার আগ্রহ এবং স্কুলে মনোযোগী থাকার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।


শিশুদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো খুবই ক্ষতিকর। তা ডাক্তাররাও সচারাচর ঘুমের ওষুধ শিশুদের দেন না। অনেকে হয়ত জানেন ঘুমের ওষুধ কি পরিমান ক্ষতি করে। আবার অনেকে নাও জানতে পারেন।আবার অনেকে জেনেও ঘুমের খেয়ে থাকেন অতিষ্ট হয়ে। কিন্তু শিশুদের ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।আদের প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম ভাল হয় কিনা সে দিকে চেষ্টা করতে হবে।


ঘুম ঠিক মত না হলে কোলিক, সর্দি, মাথাব্যথা, বিরক্তি, বদহজম এবং আরও অনেক কিছু হতে পারে।। আর তাই আপনার শিশুকে আপনি যদি সন্তানকে ঘুমানোর আগে এক কাপ ক্যামোমাইল চা দেন, তাহলে এটি তাকে ঘুমের মধ্যে আরাম দিতে সাহায্য করবে।


শিশুকে প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানোর ও একই সময়ে জাগ্রত করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি এক একদিন একেক রকম ঘুমানো ও ওঠার সময় ঠিক করেন তাহলে আপনার শিশুর ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম ভাল করতে হলে এই নিয়মটি মানতে হবে।


শব্দ করা যাবে না শিশুর পাশে

বাচ্চার পাশে শব্দ করবেন না। অতিরিক্ত শব্দ দূষণ শিশুর ঘুমকে নষ্ট করে। সে কান্না কাটি করবে। নিজে ঘুমবে না। আপনাদেরও ঘুমতে দিবে না। 


শিশুর সামনে ঝগড়া করবেন না। শিশু এগুলো দেখে অনেক ভয় পাবে এবং সে আতঙ্কে অনিদ্রায় ভুগবে। শিশুকে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুমে সাহায্য করতে হলে তার সামনে রাগারাগি, ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকুন।

ঘুমানোর আধ ঘণ্টা আগে লাইট বন্ধ করে দিন। এটি আপনার সন্তানকে ভাল ঘুম পড়তে সাহায্য করবে। 


ঘুমের ভাল হওয়ার জন্য কিছু খাবার

খাবারের জন্য কি ভাল ঘুম হতে পারে? অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে। হ্যাঁ নিশ্চয় খাবারের জন্যও ভাল ঘুম হয়। অনেক শিশুর পেটে ক্ষুধা থাকার কারনেও সব সময় পিতামাতাকে বিরক্ত করে। ঠিকমত ঘুমায় না।
কিছু খাবার শিশুকে ঠিকমত ঘুমাতে সাহায্য করবে।


ভাত, কলা, আদা, পোরিজ ওটস, মুলা এবং টমেটো সমৃদ্ধ মেলাটোনিন এবং মুরগি, মাছ, মটরশুটি, ডাল, ডিম, দুগ্ধ এবং অঙ্কুরিত শস্যে ট্রিপটোফেন সমৃদ্ধ খাবার যা খেলে শিশুর ভাল ঘুম হবে। যদি আপনার সন্তানের ঘুমাতে সমস্যা হয়, তাহলে তাকে রাতে এই খাবারগুলো দেওয়ার চেষ্টা করুন।


কিন্তু আপনার বাচ্চাকে রাতের খাবারে বেশি খেতে চাপাবেন না, কারণ বিছানার ঠিক আগে ভারী খাবার আসলে ঘুমিয়ে পড়া আরও কঠিন করে তুলবে।


মাকেও ভালো ঘুমাতে হবে। আপনার ঘুমের অভ্যাসও আপনার পরিবারের সুস্থতার উপর প্রভাব ফেলে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, সন্তানের মা যদি অনিদ্রার লক্ষণে ভোগেন তবে শিশুরা আরও খারাপ ঘুমায়।


শিশুরা মাকে বিরক্ত করে। এক সময় কান্না করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে। ফলে পর্যাপ্ত ঘুম হয়না গভীর ঘুমের পর্যায়ে কম সময় ব্যয় করে। মজার বিষয় হল, বাবারা তেমন অনিদ্রার শিকার হন না। মায়েরা বেশি দূর্ভোগ পোহান।

যদি শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে ঘুমের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা, বিষণ্নতা, স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং থাইরয়েড রোগের মতো অবস্থার সাথে সম্পর্কিত হয় তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।


এছাড়াও আপনার বা আপনার পরিবারের ঘুমের রুটিনে অপরিহার্য তেল, ভেষজ এবং সম্পূরকগুলি অন্তর্ভুক্ত করার আগে সর্বদা আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।


সুপ্রিয় পাঠক এই ছিল শিশুকে প্রাকৃতিক ভাবে ঘুম ভাল হওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কিত আমাদের আজকের পরামর্শ। যদি আপনার শিশু যদি অনিদ্রায় ভুগে থাকে ভুলেও তার সামনে শব্দ করা, রাতে লাইট জালিয়ে রাখা,ঝগড়া করা ইত্যাদি কাজ গুলো করবেন না।


যদি পরামর্শটি মন দিয়ে এবং সম্পূর্ণ পড়ে থাকেন আশা করছি তাহলে আপনি নিশ্চয় বুঝতে পারছেন আপনার জন্য কি কি করতে হবে আপনার সন্তানের ঘুমের জন্য।

শিশুকে একটু বেশিই যত্ন করুন এবং নিজের যত্ন নিতেও ভুলবেন না। প্রত্যেক শিশু এবং মায়েদের সুস্থতা খুবই জরুরি। 


খুব শীগ্রই আসব পরবর্তী পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে । কোনো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই মন্তব্য করতে পারেন কমেন্ট সেকশনে। সাথেই থাকুন। শুভকামনা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি সুপ্রিয় পাঠক।