আপনি কি বুদ্ধিমান? জেনে নিন আটটি লক্ষণ বিচারে

মানুষের বুদ্ধিমত্তা ই তাকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছে। বুদ্ধিমত্তা পরিমাপের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা থাকলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সাধারণ কয়েকটি লক্ষণ বিচার করেই বলে দেয়া যায় যে কোন ব্যক্তি বুদ্ধিমান কিনা। তাই এখানেই আটটি এমন লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আপনিও বুঝতে পারবেন যে আপনি একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি কিংবা বুদ্ধিমান ব্যক্তি নন।

আপনি কি বুদ্ধিমান? জেনে নিন আটটি লক্ষণ বিচারে
আপনি কি বুদ্ধিমান? জেনে নিন আটটি লক্ষণ বিচারে


মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। আর এই শ্রেষ্ঠত্বের পেছনে রয়েছে মানুষের বুদ্ধিমত্তা। তবে সৃষ্টিজগতের মানুষই কেবলমাত্র বুদ্ধিমান প্রাণী নয়। অফুরন্ত মানসিকতার বুদ্ধিমত্তার জোরে গড়ে তুলেছে আজকের এই আধুনিক পৃথিবী।


আমরা সকলেই নিজেকে বুদ্ধিমান হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। কিন্তু অনেক সময়ই আমাদের বুদ্ধিমত্তার মানুষের নজর এড়িয়ে যায়। এবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আপনার কোন কাজে যদি অন্য কেউ আপনাকে বুদ্ধিমান হিসেবে স্বীকার না করে তারপরও কোনো যায় আসে না।


কারণ আপনার বুদ্ধিমত্তা একান্তই আপনার নিজের। দীর্ঘ গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এমন কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে বোঝা যায় কোন ব্যক্তি বুদ্ধিমান কিনা।


আজকে আমি এমনি আটটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করব যেগুলো আপনার মধ্যে থাকলে আপনিও নিজেকে একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি হিসেবে ভাবতে পারেন। 



বুদ্ধিমান মানুষের আটটি লক্ষণ

মানুষের বুদ্ধিমত্তা পরিমাপ এর জন্য সারা বিশ্বব্যাপী আইকিউ টেস্ট কে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। তবে আইকিউ টেস্ট বুদ্ধিমত্তা নির্ধারণের একমাত্র উপায় নয়।


কারণ অনেক জিনিয়াস ব্যক্তির অনেক সময় আইকিউ টেস্ট অনেক কম নম্বর পেয়েছেন। তাই আপনি একজন বুদ্ধিমান কিনা তা কোন টেস্ট কিংবা অন্যের মন্তব্যের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় না।


নিম্নের আটটি লক্ষণের যদি কোন টি আপনার মধ্যে থেকে থাকে তবে আপনিও হতে পারেন একজন বুদ্ধিমান ব্যক্তি। 



১.অগোছানো 

আপনি কি অগোছালো? অর্থাৎ এলোমেলো অবস্থায় থাকতে পছন্দ করেন। যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে নিশ্চিতভাবে আপনি আপনার মায়ের কাছে অনেক বকুনি শুনেছেন।


অগোছানো ব্যক্তিদের সবসময়ই নিন্দা এবং অবহেলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রই অগোছালো থাকতে পছন্দ করেন। কারন তারা সাধারনত অন্য কোন বিষয় নিয়ে অধিক মনোযোগী থাকেন।


ফলে নিজের প্রতি বা তার নিজের পারিপার্শ্বিকতাকে গোছানোর দিকে তাদের মনোযোগ থাকেনা। তবে একথা সত্য যে সকল অগোছালো ব্যক্তিমাত্রই বুদ্ধিমান নয়।


তাই আপনার মধ্যে যদি অগোছালো ভাব প্রকট থাকে তবে একটু সচেতন হয়ে উঠুন কারণ আপনিও হতে পারেন বিশ্বের সেরা জিনিয়াসদের একজন। 

সুন্দর ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিতে মেনে চলুন কিছু অভ্যাস

সন্তানের চরিত্র গঠন করতে বাবা-মা এর ভূমিকা

কথা বলার সময় সতর্ক হোন এবং পরশ্রীকাতরতা থেকে বাঁচার উপায়

মুড সুইং কি? এবং কেন হয়? জেনে নিন

অলসতা দূর করার ৩টি কার্যকরী পদ্ধতি



২. রাতে ঘুম আসে না

বর্তমান সময়ে আমরা প্রায়ই অধিক রাত পর্যন্ত জেগে থাকি। তবে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন যে যে সকল ব্যক্তি রাতে ঘুমাতে পারেন না অর্থাৎ অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন তাদের মধ্যে বুদ্ধিমান হওয়ার বীজ ঢুকিয়ে থাকে।


বুদ্ধিমান ব্যক্তির মাথায় সবসময় নতুন কে আবিস্কার করার চিন্তা ঘুরপাক খায়। যা তাকে রাতের বেলা ঘুমাতে দেয় না। ফলে আপনার যদি রাত জেগে এমনই কোন চিন্তা করার অভ্যাস থেকে থাকে তবে আপনি একজন বুদ্ধিমান মানুষ। 



৩. অনুসন্ধিৎসু 

যে সকল মানুষ সবসময় নতুনকে অনুসন্ধানে নিযুক্ত থাকে তারা বুদ্ধিমান হয়ে থাকেন। বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রই মনে থাকে নতুন কে খোঁজার আশা।


এবং এর জন্যই তারা প্রতিনিয়ত বই পড়েন অথবা নতুন নতুন কিছু আবিষ্কারের চেষ্টা করেন।


তাই আপনার মধ্যে যদি বই পড়ার অভ্যাস থাকে অথবা কিছু আবিষ্কারের নেশা আপনাকে পেয়ে বসে তবে আপনি নিঃসন্দেহে একজন বুদ্ধিমান মানুষের দলে। 



৪. বামহাতি

অনেক ব্যক্তি রয়েছেন যারা ডান হাত থেকে বাঁহাত দিয়ে কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। এসকল ব্যক্তিদেরকে সাধারণত বাঁহাতি বলা হয়।


এই অভ্যাস ব্যক্তি জন্মসূত্রে পেয়ে থাকে। আপনি যদি বাম হাত ব্যবহার করে সকল ধরনের কাজ করতে অধিক অভ্যস্ত হয়ে থাকেন তবে আপনাকে বুদ্ধিমান বলা যায়। 



৫. সেন্স অফ হিউমার

সেন্স অফ হিউমার বুদ্ধিমান মানুষের একটি বড় লক্ষণ। যে সকল ব্যক্তি বুদ্ধিমান হয়ে থাকে তাদের সেন্স অফ হিউমার ভালো হয়।


ফলে তারা অনায়াসেই কোন হাস্যরসের কথার মানে বুঝতে পারে। এছাড়া এসব ব্যক্তি যে কোন কথার মধ্য থেকেই হাসো। ভাব বা মজার বিষয়টি খুঁজে নিতে পারে।


কাজী যদি আপনার সেন্স অফ হিউমার ভালো হয়ে থাকে তবে নিজেকে একজন বুদ্ধিমান মানুষ মনে করুন। 



৬. প্রশ্ন করা

বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রই নতুন কে খোঁজার সংগ্রামে নিযুক্ত। আর এই জন্য প্রতিনিয়ত এ তাদেরকে প্রশ্ন করে যেতে হয়।


এই প্রশ্নগুলো কখোনো হয় অন্য কারো উদ্দেশ্যে আবার কখনো হয় সম্পূর্ণ নিজের সাথে।


কাজেই আপনি যদি প্রশ্ন করতে ভালোবাস বা আপনার মধ্যে যদি সবসময় প্রশ্ন করার তীব্র আকাঙ্ক্ষা জন্য তবে নিঃসন্দেহে নিজেকে বুদ্ধিমান বলে মনে করুন। 



৭. একা একা থাকা

মানুষ সামাজিক জীব রাজি সমাজ বা মানুষের সঙ্গ ছাড়া কোনো মানুষই বসবাস করতে পারে না। তবে বুদ্ধিমান ব্যক্তি বেলায় কিন্তু এই যুক্তি খাটে না।


গবেষণায় দেখা গেছে যে যে সকল ব্যক্তি বুদ্ধিমান তারা একা একা থাকতেই ভালোবাসেন। অনেক সময়ই বুদ্ধিমান ব্যক্তি মানুষের সঙ্গ এড়িয়ে চলেন। অবশ্য এর কারণ হতে পারে যে আশেপাশের মানুষজন প্লায়স বুদ্ধিমান ব্যক্তির সম্পর্কে তেমন ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন না।


তাছাড়া অধিক মানুষের সঙ্গে থাকলে বুদ্ধিমান ব্যক্তির গবেষণা বা অনুসন্ধানে বাধা তৈরি হতে পারে। তাই বুদ্ধিমান ব্যক্তি সবসময়ই মানুষের সঙ্গ কে এড়িয়ে যান। 



৮.মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত সময় ব্যয়

মোবাইল ফোন অথবা পিসিতে অতিরিক্ত সময় বের করাকে কেউই ইতিবাচকভাবে দেখেনা। অনেকেই মনে করে এতে সময়ের অপচয় হয়।


কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে যেসব ব্যক্তি সারাদিন মোবাইল ফোন ঘাটাঘাটি করে তারাও বুদ্ধিমান হতে পারে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের আবির্ভাব আমাদের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে সমগ্র পৃথিবীকে।


ফলে আমরা ঘরে বসে জানতে পারছি দেশ বিদেশের খবরাখবর। বুদ্ধিমান ব্যক্তি মাত্রই মোবাইল ফোনকে এসকল তথ্য অনুসন্ধানের জন্য ব্যবহার করেন।



তাই যে সকল ব্যক্তি সারাদিন মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে বসে থাকেন তাদের কে অবহেলা না করে বুদ্ধিমান ভাবাটাই শ্রেয়। হতে পারে তাহলে এই ডিভাইসটি ব্যবহার করে নতুনকে জানার চেষ্টা করছেন।