এঙ্গেজিং কন্টেন্ট লেখার ৫ টি কার্যকরী ধাপ
লেখালেখি অনেকের কাছে ঝামেলার ব্যাপার। কিন্তু এই ৫ টি ধাপেই লিখতে পারেন ভাল এঙ্গেজিং কন্টেন্ট, ফেসবুক পোস্ট কিংবা ব্লগ।

ওয়েব সাইট কিংবা ব্লগ অথবা ফেসবুক পোস্টের মূল প্রাণ হচ্ছে কন্টেন্ট। অর্থাৎ যেটি দিয়ে আপনার কাস্টমার কিংবা টার্গেট অডিয়েন্সের সাথে আপনি যোগাযোগ স্থাপন করবেন। হতে পারে আপনার ব্যবসায়ের কোন একটি অফার সম্পর্কে জানাবেন। অথবা আপনার টার্গেট অডিয়েন্সকে আপনার সুবিধা অসুবিধার কথা জানাবেন।
ভাবতে পারেন এ আর এমন কি? সাধারণ লেখার মত করে লিখলেই হবে। কিন্তু আপনার পুরো লেখাটি পড়ার মত ধৈর্য সবার থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া একটু বড় লেখা হলেই আপনার আমার মত সবাই তা এড়িয়ে চলে। যার জন্য আপনার লেখাটি হওয়া চাই কিছু নিয়ম মেনে। যাতে করে পাঠকরা সেটি পড়তে গিয়ে বিরক্তি বোধ না করে।
তাছাড়া অনেকেই লেখালেখি করে আয়ও করতে চান। তবে চলুন লেখা না বাড়িয়ে দেখে নেই ৫ টি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করে কিভাবে আপনি মজাদার এঙ্গেজিং কন্টেন্ট লিখবেন।
১. দারুণ একটি শিরোনাম দিয়ে পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করুন
আপনি এই লেখাটি কেন পড়ছেন? অবশ্যই এই লেখাটির শিরোনামটি আপনার মনোযোগ কেড়েছে। অন্যথায় এই লেখাটিও আপনি পড়তেন না। তাই আপনি যা ই লিখেন না কেন তার একটি সঠিক এবং যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত শিরোনাম দিয়ে জানিয়ে দিন আপনার পাঠকরা কি পড়তে যাচ্ছে।
ফলে যার এই বিষয়ে আগ্রহ আছে সে এটি পড়বে। সেই সাথে তারা পুরো লেখাটি পড়ার আগেই জেনে যাবে তারা কি পড়তে যাচ্ছে আর সেটিতে তাদের আগ্রহ আছে কিনা। খবরের কাগজ পড়ার সময়ও দেখবেন মজার অথবা দারুণ শিরোনামের খবর গুলো আপনি আগেই পড়ছেন। যে বিষয়ে আপনার আগ্রহ নেই সেটি পড়ে নিশ্চয়ই সময় নষ্ট করেন না তাই না?
২. সহজ সুন্দর এবং সাবলীল ভাষা
হতে পারে আপনি অনেক জ্ঞানী মানুষ এবং আপনি লিখতেও পারেন ভাল। কিন্তু অযথাই আপনার লেখাটি দীর্ঘ করবেন না। তাতে এক দুই লাইন পড়েই পাঠকরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলে। যার ফলে আপনি কি লিখতে চাচ্ছেন বা তাদের জানাতে চাচ্ছেন সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। শুধু শুধু লেখায় ভারী ভারী শব্দ থাকলেই সেটি ভাল লেখা হয়না।
লেখাটি হওয়া চাই সহজ এবং সাবলীল ভাষার তবেই সেটি সব ধরণের পাঠকের বোধগম্য হবে। কঠিন লেখা পড়ে আপনি যদি কিছু বুঝতেই না পারেন তবে সেই লেখাটি পড়ে আপনার সময় নষ্ট ছাড়া আর কিছুই হবে না। তাই যতটা সম্ভব অল্প কথায় পাঠকদের মূল বিষয়টি জানিয়ে দিন। ফলে আপনারও লেখার সময় বাঁচবে পাঠকেরও পড়ার সময় বাঁচবে।
৩. সঠিক ও নির্ভুল তথ্য দিন সাথে তথ্যের উৎসও দিন
আপনার লেখায় যদি কোন ভুল থাকে, তবে সেটি পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবেনা। এর ফলে আপনার পরবর্তী লেখা গুলোও পাঠকরা এড়িয়ে যাবে। তাই আপনার লেখাতে যতটা কমে পারা যায় সঠিক তথ্য দিন।
যাতে করে যে পড়ছে সেটি তাদের কাজে লাগে। সেই সাথে কোন তথ্য থাকলে তার তথ্যসূত্র এবং রেফারেন্স দিন। এতে করে পাঠকের কাছে আপনার লেখার সত্যতা বজায় থাকবে। সেই সাথে আপনার পরবর্তী লেখা গুলোতেও তাদের আস্থা থাকবে।
৪. অপ্রসাঙ্গিক বিষয় গুলো এড়িয়ে চলুন
কথায় বলে, "কথায় কথা বাড়ে"! অনেকেই কথা বলতে বসলে কথায় কথায় রাত পার করে ফেলে। কিন্তু আমার আপনার মত বাকিদের এত সময় কোথায়? লেখার বিষয়টাও তাই। একটি বিষয় নিয়ে লিখতে গেলে প্রাসঙ্গিক অনেক কিছুই চলে আসতে পারে। তবে বেশি জিনিস এনে সময় নষ্ট করার দরকার নেই।
অযথা লেখা পেঁচানোরও কিছু নেই। তাই চেষ্টা করুন যে বিষয়টি নিয়ে লিখছেন সেটি শুধু সেই বিষয়ের উপরেই লিখতে। দরকার হলে বাকি বিষয়ের জন্য আলাদা করে অন্য একটি লেখায় লিখুন। তাতে করে পাঠক লেখক দুজনের লাভ।
৫. লেখাতে ছবি যুক্ত করুন এবং SEO মেনে চলুন
অনেকেই শুধু লিখতেই থাকেন। যা অনেকের কাছে পড়ে যেতে হবে দেখে বিরক্তি লাগতে পারে। তাই আপনার লেখার পাশাপাশি অন্তত একটি ছবি যোগ করে দিন। তাতে পাঠকরা ছবি দেখেও অনেক কিছু বুঝতে পারবে। এই লেখাতেও দেখুন দারুণ একটি ছবি যোগ করা আছে। এছাড়াও পাশাপাশি লেখার মধ্যে কিছু এস ই ও প্র্যাকটিস আছে। সেটিও গুগোল করে জেনে নিন।
SEO সম্পর্কে একদমই আইডিয়া না থাকলে সে সম্পর্কে জানুন। ধীরে ধীরে সে গুলো লেখার মধ্যে নিয়ে আসুন। SEO-র কারণেই যে কোন লেখা সার্চ ইঞ্জিন গুলোর শুরুতে এসে র্যাংক করে। যার জন্যে লেখার মধ্যে SEO যোগ করাটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
লেখালেখি অনেকের কাছে খুব আনন্দের কাজ। আবার অনেকের কাছে বেশ বিরক্তিকর ব্যাপার। অনেকেই আবার গুছিয়ে লিখতে পারেন না। কিন্তু কাজ অকাজ কিংবা মনের ভাব প্রকাশের জন্যেও টুকটাক লেখালেখি আমদের সবারই করতে হয়।
উপরের এই ৫ টি ধাপ মেনে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক পোস্ট, ব্লগ অথবা ওয়েব সাইট কন্টেন্ট লিখতে পারেন। এভাবে কন্টেন্ট লিখে আয়ও করতে পারেন। এই ৫ টি উপায় জানা থাকলেই আপনার লেখালেখি অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। সেই সাথে লেখার মাধ্যমে আপনার উদ্দেশ্যটাও সুন্দর ভাবে সফল হবে।