ঘরে বসে শিখে নিন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল

আমরাজানি প্রতিযোগিতার এ যুগে এখন শুধু একাডেমিক পড়াশোনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট আমাদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। বর্তমানে সফল ক্যারিয়ারের জন্য আমাদের বেশ কিছু স্কিল শেখা প্রয়োজন।

ঘরে বসে শিখে নিন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল
ঘরে বসে শিখে নিন ৩টি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল


আমরা জানি প্রতিযোগিতার এ যুগে এখন শুধু একাডেমিক পড়াশোনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট আমাদের ক্যারিয়ার গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়। বর্তমানে সফল ক্যারিয়ারের জন্য আমাদের বেশ কিছু স্কিল শেখা প্রয়োজন। করোনা মহামারীর কারণে আমরা একটা দীর্ঘসময় যাবৎ লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।


তাই হাতে আছে প্রচুর সময়। এই সময় অযথা অপচয় না করে আপনি দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন এমন কিছু কাজে যা আপনার ক্যারিয়ার গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তাই আজ আমরা কথা বলব এমন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ স্কিল নিয়ে যা আপনি ঘরে বসে সহজেই শিখে নিতে পারবেন।


1. কমিউনিকেশন স্কিল :

কমিউনিকেশন স্কিল বা যোগাযোগ দক্ষতা। যেকোন পেশায় ক্যারিয়ার গঠনে এই দক্ষতা আবশ্যক। যোগাযোগে দক্ষ হলে আপনি সহজেই যে কারো মনযোগ আকর্ষণ করতে পারবেন।


কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ একটি আর্ট বা কলা। একে শেখা যায়,উন্নত করে নেওয়া যায়। যার জন্য দরকার শেখার প্রবল ইচ্ছা এবং ক্রমাগত অভ্যাস করে যাওয়া। এ দক্ষতা উন্নত করতে হলে আপনাকে এর পেছনে সময় ও পরিশ্রম ব্যয় করতে হবে।


কমিউনিকেশন স্কিল বাড়ানোর কিছু উপায় :

• ভালো কমিউনিকেটর হতে হলে আপনাকে প্রথমে মাতৃভাষা থেকে শুরু করতে হবে। কমিউনিকেশন এর প্রথম ধাপ হলো চিন্তা প্রক্রিয়া,যার মাধ্যমে আপনি চিন্তা করছেন কি বলবেন এবং এই চিন্তাটা আমাদের মাথায় কিন্তু মাতৃভাষাতেই এসে থাকে। তাই নিজের মাতৃভাষায় স্পষ্ট ভাবে শুদ্ধ উচ্চারণসহ কথা বলতে হবে।


• কথা বলার সময় সঠিক শব্দ ব্যবহার করুন।এমন শব্দ ব্যবহার উচিত নয় যাতে শ্রোতার আপনার সম্পর্কে কোনো নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়।


• কথা বলার সময় গলার স্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আপনার উচ্চারণ হতে হবে স্পষ্ট এবং খেয়াল রাখতে হবে যিনি শ্রোতা তিনি যেন পরিস্কার ভাবে আপনার কথা শুনতে পান। খুব দ্রুত কথা বললে বিপরীতে যে মানুষটি আছেন তিনি আপনার কথা ঠিকমতো ফলো নাও করতে পারেন। কাজেই আপনাকে একটু ধীরে বলার অভ্যাস করতে হবে।


• শ্রোতার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে হবে এবং তার বডি ল্যাংগুয়েজের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শ্রোতার কোনো ভাল গুণ থাকলে তার প্রশংসা করুন। এর মধ্য দিয়ে আপনার প্রতি তার ভাল ধারণা তৈরি হবে।


• কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে একজন রোল মডেল বেছে নিন,যার কমিউনিকেশন পদ্ধতি আপনার ভালো লাগে,যাকে আপনি নিয়মিত ফলো করতে পারেন। তিনি কোনো ইউটিউবার হতে পারেন,হতে পারেন কোনো সাংবাদিক,কোনো বক্তা বা কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। আপনার রোল মডেলকে নিয়মিত ফলো করতে থাকুন এবং দেখতে থাকুন তার কোন কোন জিনিস মানুষ পছন্দ করছে এবং কি কি কারণে তাকে ভাল কমিউনিকেটর বলে আপনার মনে হয় তা নোট করুন এবং রপ্ত করুন।


• কমিউনিকেশন স্কিল বাড়াতে কিছু বই পড়তে পারেন। যেমন : How to talk with anyone by Leil Lowndes, Skill with People by Les Giblin.


• নিজের কমফোর্ট জোন থেকে বাইরে বের হয়ে আসুন। নতুন নতুন মানুষদের সাথে পরিচিত হন, কথা বলুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। উল্লিখিত টিপস গুলো নিয়মিত ফলো করলে আপনার কমিউনিকেশন স্কিল বৃদ্ধি পাবে এবং আপনি হয়ে উঠবেন দক্ষ একজন বক্তা।



2. গ্রাফিকস ডিজাইন :

বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন একটি খাত হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। এটি ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম একটি মাধ্যম। মানুষের চিন্তাশক্তি বা ধারণাশক্তিকে সুন্দর ভাবে প্রকাশ করার জন্য যে ছবি তৈরি করা হয় সেটাই গ্রাফিক্স ডিজাইন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এমন একটি দক্ষতা যা রোবট বা মেশিন পারেনা।


রোবট ও মেশিন অনেক কিছু করতে সক্ষম হলেও ডিজাইন এবং আর্ট রোবটের পক্ষে করা সম্ভব না। এক্ষেত্রে অবশ্যই হিউম্যান ব্রেইনকে কাজ করতে হবে। বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে ব্যক্তিগত,প্রাতিষ্ঠানিক এবং যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের এক বিরাট চাহিদা তৈরি হয়েছে।


গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে আপনি নিজের সৃজনশীলতা বিকাশের সুযোগ পাবেন এবং স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ডিজাইন,পোস্টার,বইয়ের কভার,টি-শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের অন্তর্ভুক্ত।


তাহলে চলুন জেনে নিই গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কিছু উপায় :

• গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে যেটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটা হলো দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি। আপনাকে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে যে আপনাকে এই ফিল্ডে দক্ষ হতেই হবে।


• আপনার চিন্তাশক্তি বা ধারণা করার ক্ষমতা থাকতে হবে। নিত্যনতুন ডিজাইন নিয়ে চিন্তা করতে হবে ও নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন ডিজাইনের আইডিয়া বের করতে হবে।


• ডিজাইন বিষয়টি কিছু শিল্পকর্ম ও বিজ্ঞানের সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়েছে। তাই ডিজাইনের মৌলিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরি। মৌলিক বিষয়গুলোর মধ্যে কম্পোজিশন,কালার ব্যালেন্স ও ডিজাইন ম্যাটেরিয়াল অন্যতম। আপনাকে জানতে হবে একজন ডিজাইনার কিভাবে এসব উপাদান সমন্বয় করে একটি ডিজাইন তৈরি করে।


• ডিজাইন করার জন্য প্রথমেই কম্পিউটারে না বসে কাগজে-কলমে কিছু কাজ করে নিলে সুবিধা হয়। আপনি ডিজাইনটা কেমন চাচ্ছেন,সেখানে কি ধরনের রঙ ব্যবহার করবেন,আপনার ডিজাইনের শেইপ কেমন হবে এসব বিষয় যদি আপনি কাগজে কলমে এঁকে নেন এবং তারপর সফটওয়্যারে কাজ শুরু করেন তাহলে আপনার ডিজাইনটি অত্যন্ত সুন্দর ও গোছানো হবে।


• একসময় গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়টা অনেক জটিল ছিল। কিন্তু বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে বর্তমানে ডিজাইন করা বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে।ডেস্কটপ বা ল্যাপটপে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে আপনি মনের মতো ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন।


• গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে গেলে যে বিশেষ সফটওয়্যারগুলো প্রয়োজন তা হলো :

এডোবি ফটোশপ, এডোবি ইলাস্ট্রেটর, এডোবি ইন ডিজাইন,এডোবি ফ্ল্যাশ ইত্যাদি। বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আপডেট ভার্সনের এখন চলছে এডোবি ইলাস্ট্রেটর সিসি এবং এডোবি ফটোশপের সিসি প্রোগ্রাম। একটি ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ এবং সাথে ইন্টারনেট কানেকশন থাকলে আপনি আজ থেকেই কাজ শুরু করে দিতে পারেন।


এছাড়াও এখন এন্ড্রয়েড মোবাইল দিয়েও গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায়। প্লেস্টোর থেকে 'Canva App' ইন্সটল করে আপনি ডিজাইন করতে পারবেন।


• গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য অনলাইন ও অফলাইন উভয় জায়গায়ই বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। তবে প্রথমে অনলাইনে বিভিন্ন ভিডিও টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে ডিজাইনের বেসিকটা জেনে নিলে ভাল হয়। তাছাড়াও অনলাইনে রয়েছে বিভিন্ন কোর্স যার মাধ্যমে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবেন।


গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে আপনি এক্ষেত্রে দক্ষ হয়ে উঠবেন। এজন্য আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে। শুধু কোর্সে ভর্তি হলে এবং ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখতে থাকলে কোনো লাভ হবেনা। অবশ্যই আপনাকে অনুশীলন করতে হবে। একটি প্রবাদ আছে, “Practice makes a man perfect.” এই কথা মাথায় রেখে আপনাকে নিয়মিত চর্চা করতে হবে।


এর ফলে আপনার কাজের মান বৃদ্ধি পাবে। আপনার কাজ সম্পর্কে আশেপাশের মানুষের মন্তব্য জানার চেষ্টা করুন। মন্তব্য যতো কঠিন হবে আপনি নিজেকে ততো উন্নত করতে পারবেন। খারাপ মন্তব্যে কখনো ভেংগে পড়বেন না। কারণ এ মন্তব্যগুলোই আপনাকে আরো ভাল কাজ করতে উৎসাহি করবে। উল্লিখিত নিয়মগুলো অনুসরণ করলে এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ হয়ে উঠবেন।


3. লেখালেখি :

অবসর সময়ে শখের বশে অনেকেই লেখালেখি করে থাকেন। আপনি কিন্তু চাইলে লেখালেখিকে আপনার আয়ের মাধ্যমও করে নিতে পারেন। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি চাহিদাসম্পন্ন খাত হচ্ছে কন্টেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং।


গ্রাফিক্স ডিজাইনের মতো কন্টেন্ট রাইটিং ও একটি ক্রিয়েটিভ সেক্টর। লেখার প্রতি আগ্রহ থাকলে আপনিও শুরু করতে পারেন কন্টেন্ট রাইটিং ও ব্লগিং। কিছু নিয়ম ফলো করে আপনি হয়ে উঠতে পারেন একজন প্রফেশনাল রাইটার। আপনার লেখার মান কে করতে পারেন আরো ভাল ও রুচিসম্মত। তাহলে চলুন জেনে নিই কিভাবে শুরু করবেন এক্ষেত্রে আপনার যাত্রা - • কোন ওয়েবসাইট বা প্রতিষ্ঠানের কন্টেন্ট রাইটার হয়ে কাজ করতে হলে প্রথমে তারা আপনার কাজের স্যাম্পল দেখতে চাইবে।


তাই প্রথমে পপুলার কয়েকটি টপিক যেমন : হেলথ, লাইফস্টাইল, ফ্যাশন, ফুড সিলেক্ট করে সেগুলোর উপর আর্টিকেল লেখা শুরু করুন। আপনি Medium.com, Wordpress.com এ নিজের ব্লগিং প্রোফাইল তৈরি করে সেখানে আপনার লেখা আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন।


পরবর্তীতে কোনো প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট আপনার লেখা পছন্দ করলে তারা আপনাকে তাদের ওয়েবসাইটে লেখার সুযোগ দিতে পারে। এছাড়াও আপনি Fiverr.com, Freelancer.com এ প্রোফাইল তৈরি করে আপনার সার্ভিস প্রোভাইড করতে পারেন।


• আপনাকে অবশ্যই কপিরাইট ফ্রি কন্টেন্ট লিখতে হবে। অন্য কারো কন্টেন্ট হতে কপি করলে হবেনা। কারণ যে আপনাকে কন্টেন্ট লেখার কাজটি দিয়েছে সে অবশ্যই একটি শতভাগ অরিজিনাল কন্টেন্ট চাচ্ছে। হ্যাঁ,আপনি নিজের কন্টেন্ট লেখার জন্য অবশ্যই রিসার্চ করবেন,বিভিন্ন উৎস হতে তথ্য সংগ্রহ করবেন তবে অন্যকারো লেখা হুবহু কপি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।


• কোন বিষয় নিয়ে লেখা শুরুর আগে আপনি সেই বিষয়ের উপর কিছু সময় নিয়ে রিসার্চ করবেন। এরপর নিজের ভাষায় ও নিজের স্টাইলে লিখবেন এতে করে আপনার লেখা হবে ইউনিক ও একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে আপনার আলাদা একটি আইডেন্টিটি তৈরি হবে।


• কপিরাইট ফ্রি কন্টেন্ট লিখতে আপনি কিছু টুল ব্যবহার করতে পারেন। যেমন : Gramarly.com, Copyscape.com। এ টুলস গুলো ব্যবহার করে আপনি জানতে পারবেন আপনার লেখা প্লেজারিজম ফ্রি কি না। একটি আর্টিকেল লিখে যদি আপনি copyscape এ রান করান তাহলে তা আপনাকে বলে দিবে যে কোন কোন লাইন আপনি কপি করেছেন। ফলে আপনি তা সংশোধন করতে পারবেন।


• আপনি চাইলে টিউটোরিয়াল টাইপ আর্টিকেল লিখতে পারেন আবার রিভিউ টাইপ আর্টিকেলও লিখতে পারেন। রিভিউ টাইপ আর্টিকেলে আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্টের রিভিউ লিখবেন। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির এফিলিয়েট প্রোগ্রামের সাথে জড়িত হতে পারবেন। আপনার লেখা রিভিউ পড়ে যদি কেউ কোন প্রোডাক্ট ক্রয় করে তবে আপনি উক্ত কোম্পানি হতে একটি কমিশন পাবেন। এফিলিয়েট প্রোগ্রাম গুলোর মধ্যে 'Amazan Affiliate Programme' খুব জনপ্রিয়।


• সবশেষে বলা যায়, আপনার জ্ঞানকে অবশ্যই আপডেট রাখতে হবে। লেখার অভ্যাসটা চালিয়ে যেতে হবে। প্রথম দিকে আপনি ভুল করবেন। তবে হতাশ হওয়া যাবেনা। আপনাকে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে এবং আপনার লেখার মান বাড়ানোর চেষ্টা করতে হবে। যে বিষয় নিয়েই লিখেন না কেন উপরের উল্লিখিত টিপসগুলো যদি ফলো করেন তাহলে একজন সফল কন্টেন্ট রাইটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে তা সহায়ক হবে।


উপসংহার :

লকডাউনের এই সময়কে কাজে লাগিয়ে যদি আপনি এ স্কিলগুলো শিখতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই মন্দ হয় না। তাই আপনি আজ থেকেই শুরু করে দিতে পারেন এবং বর্তমান এই প্রতিযোগিতার যুগে অন্যদের থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারেন।