ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করুন

বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রি অর্থ উপার্জনের অন্যতম উপায়।একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রতিলিপি তৈরি করাকেই মূলত ডাটা এন্ট্রি বলে।

ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করুন
ডাটা এন্ট্রির মাধ্যমে অনলাইনে ঘরে বসে আয় করুন

বর্তমান সময়ে ডাটা এন্ট্রি অর্থ উপার্জনের অন্যতম উপায়। একটি নির্দিষ্ট ধরনের ডাটা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে প্রতিলিপি তৈরি করাকেই মূলত ডাটা এন্ট্রি বলে।


ডাটা এন্ট্রি হতে পারে হাতে লেখা কোন তথ্যকে কম্পিউটারে টাইপ করা অথবা কম্পিউটারের কোন একটি প্রোগ্রামের ডাটাকে এক ফরমেট থেকে অন্য ফরমেটে রূপান্তর করা।


ডাটা এন্ট্রি কেনো করবেন?

অনলাইনে আয় করার পদ্ধতি গুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রিই সব থেকে দ্রুত ও কম সময়ের মধ্যে শিখে নেয়া যায়।


ফলে ঘরে বসে চাইলেই আপনি অল্প সময়ের মধ্যে ডাটা এন্ট্রি শিখে ফাইবার বা আপ-ওয়ার্ক এর মতো জনপ্রিয় ফ্রিলান্সিং প্লাটফরর্মে আয় করা শুরু করতে পারবেন।


বর্তমান সময়ে প্রতিনিয়তই ছাত্র থেকে শুরু করে চাকরিজীবি সবাই এই সেক্টরে কাজ শিখতে আগ্রহী হচ্ছে।


কি কি যোগ্যতা লাগবে ডাটা এন্ট্রি শিখতে?

ডাটা এন্ট্রি শিখতে আপনার খুব বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হবে না। মিনিমাম যে যোগ্যতা গুলো লাগবে,


দ্রুত টাইপিং স্কিল

কমিনিউকেশন করার মতো ইংলিশে দক্ষতা

মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কাজ

মাইক্রোসফট এক্সেল এর কাজ

ওয়েব রিসার্চ বা ব্রাউজিং(ইন্টারনেট থেকে তথ্য খুজে বের করার ক্ষমতা)


ডাটা এন্ট্রি জবস

ওয়েব রিসার্চ

কপি-পেস্ট

ফরমেট ইডিটিং এবং কারেকশন

রি-ফরমেটিং

মাইক্রো জবস

ইমেল প্রসেসিং

ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট

ইমেজ টু টেক্সট

মাইক্রোসফট এক্সেল


ওয়েব রিসার্চ

ইন্টারনেট এর মাধ্যমে বিভিন্ন ওয়েব সাইট খুঁজে তথ্য বের করার প্রক্রিয়াকে ওয়েব রিসার্চ বলে। ওয়েব রিসার্চ করে যে তথ্য পাওয়া যায় সেই তথ্য গুলোকে নির্দিষ্ট প্লাটফরমে এন্ট্রি করাকেই ডাটা এন্ট্রি বলে।


কপি-পেস্ট

ডাটা এন্ট্রির মধ্যে সব থেকে সহজ পদ্ধতিটি হলো কপি-পেস্ট। কপি-পেস্ট পদ্ধতিতে আমরা কোনো স্থানের ডাটা কে এক ই ফরমেটে রেখে অন্য জায়গায় সংরক্ষণ বা সরবাহ করে থাকি।


এটি সাধারণ করে থাকি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড বা গুগল ডক্স এর মাধ্যমে। এটিকে ডাটা এন্ট্রির জগতে সব থেকে সহজ কাজও বলা হয়ে থাকে।


শুধু মাত্র টাইপিং স্কিল থাকলেই আপনি এই সেক্টরে কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।


ফরমেট ইডিটিং এবং কারেকশন

এই সেক্টরের কাজ হলো মূলত ইংলিশের স্পেলিং মিস্টেক গুলো ঠিক করা ও গ্রামাটিকাল ভুল গুলো সংশোধন করা এবং এর সাথে ফরমেট একই রেখে সেটা টাইপ করা।


বলা যায় ইংলিশ স্কিল ও টাইপিং স্কিলের মাধ্যমে এই সেক্টরেও আপনি খুব দ্রুত সাফল্য পাবেন।


রিফরমেটিং

রিফরমেটিং সেক্টরে আমরা ডাটা গুলোর ফরমেট এর পরিবর্তন করে থাকি। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মাধ্যমে আমরা ডাটার ফন্ট, কালার ও সাইজের পরিবর্তন করে থাকি।


মাইক্রো জবস

মাইক্রো জব সেক্টরে ডাটা এন্ট্রির কাজ খুব ই জনপ্রিয়। খুব সহজেই টাইপিং স্কিলের সাহায্যে ডাটা এন্ট্রির কাজ গুলো করা যায় বিধায় এখানে প্রতিযোগিতাও বেশি। টাইপিং স্কিল মজবুত করে আপনিও এই সেক্টরে একজন প্রতিযোগী হতে পারবেন।


ইমেইল প্রেসেসিং

ইমেইল প্রসেসিং হচ্ছে বড় বড় কোম্পানি তাদের ইমেল প্রসেস করার জন্য অনলাইং ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে জব পোস্ট করে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি তাদের ইমেইল ম্যানেজমেন্ট এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন।


এই সেক্টরের কাজ হচ্ছে ইমেল এর মেসেজ চেক করা এবং রিপ্লাই দেয়া। এই কাজ গুলো একটু প্রফেশনাল হয়ে থাকে। ফলে আপনি অভিজ্ঞতাও অর্জন করতে পারবেন।


ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট

এই সেক্টর টি ডাটা এন্ট্রি জগতে নতুন একটি সেক্টর। নতুন হলেও খুব কম সময়েই এটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।


বর্তমানে কোম্পানি গুলোর সিইও অনেক সময় তাদের কাজের শিডিউল ম্যানেজ করার জন্য ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট হায়ার করে থাকে।


ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট এর কাজ গুলোর মধ্যে ইমেইল প্রসেসিং অন্যতম। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ও এক্সেল এর কাজ গুলো ও এই সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত।


ইমেজ টু টেক্সট

ইমেজ থেকে টেক্সট কনভারশনের কাজ গুলো আমরা করে থাকি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর মাধ্যমে। ফলে কাজ গুলো করতে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কিছু বেসিক স্কিল আপনার থাকতে হবে।


ইমেজ কনভারশনের সাথে আরটিকেল রাইটিং এর কাজটিও মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর সাহায্যে করা যায়।


মাইক্রোসফট এক্সেল

ডাটা এন্ট্রি সেক্টরে মাইক্রোসফট এক্সেলের কাজ মূলত ডাটা শিট তৈরী করা। ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী ডাটা রিসার্চের পর এক্সেলে সেটিকে সুন্দর করে লিস্ট আকারে তৈরী করে ক্লাইন্ট কে সরবাহ করাই এই সেক্টরের কাজ।


ফাইবার ও আপওয়ার্ক প্লাটফরমে মাইক্রোসফট এক্সেল রিলেটেড কাজ এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।


ডাটা এন্ট্রির কাজে অসুবিধেসমূহ

ডাটা এন্ট্রি সেক্টরের কাজ সমূহ সহজ হলেও এই সেক্টরের কিছু অসুবিধেও রয়েছে। এই সেক্টরে প্রতিযোগিতা থাকে অনেক বেশি।


১. নতুন দের কাজ পেতে সময় লাগে

২. ছোট ছোট কাজ হওয়ায় উপার্জন ও কম হয়

৩. একঘেয়েতা চলে আসে অল্প সময়েই এক ই কাজ বিধায়

৪. দক্ষতা দেখানোর সুযোগ কম থাকায় বেশি দিন এই কাজে লেগে থাকে না

৫. কাজে মনোযোগ ধরে রাখতে হয়। নাহলে ভুল হতে পারে।


অসুবিধা থাকা সত্বেও দিন দিন ডাটা এন্ট্রি সেক্টরে ফ্রিলান্সারদের প্রতিযোগিতা সময়ের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন নতুন হাজারো ফ্রিলান্সার যুক্ত হচ্ছে এই সেক্টরের ফ্রিলান্সির প্লাটফরম গুলোতে।


আরও পড়ুনঃ ফাইভারের মার্কেটপ্লেসে কীভাবে অধিক পরিমাণ কাজ পাবেন