ধনী হতে হলে এই কথাগুলি মাথায় রাখা খুবই প্রয়োজন
সকলেই ধনী হতে চান। কিন্তু ধনী হওয়ার পথে কোন জিনিস বাধা হয়ে দাঁড়ায় সে সম্পর্কে অনেকে জানে না। আজকের আর্টিকেলটিতে কীভাবে ধনী হতে গেলে বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগ করতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে

কোন ব্যক্তির ধনী হওয়ার জন্য শারীরিক শ্রম করার পাশাপাশি মানসিক মনোবল যেমন থাকতে হবে, সেইসাথে টাকা রোজগার করে ধনী হওয়ার তীব্র বুদ্ধিমত্তা থাকারও প্রয়োজন।
আচ্ছা, একটা সাধারণ প্রশ্নের জবাব দিন। আপনার কি মনে হয় কেন ধনী ব্যক্তি সারাজীবনে ধনী ছিলেন কিংবা তিনি কি সারাজীবন সম্পদ জমিয়ে জমিয়ে ধনী হয়েছেন? আপনার কি মনে হয় ধনী হওয়ার পেছনে গোপন রহস্যটা কি হতে পারে?
আপনার কি মনে হয় একজন ব্যক্তি ধনী হওয়ার জন্য অনেক বেশি কাজ করে থাকেন নাকি তিনি সারা জীবন সম্পদ জমিয়ে সম্পদের পাহাড় তৈরি করে শেষ পর্যন্ত ধনী হতে পেরেছেন?
আসলে ধনী শব্দের অর্থ কিন্তু এমন নয় যে সম্পদের পাহাড় যার কাছে রয়েছে কিংবা যে অনেক সম্পদের মালিক। প্রকৃতপক্ষে ধনী ব্যক্তি তাকে বলা হয় যার কখনো অর্থের অভাব হয় না।
সে যখন চায় তখন অর্থ ব্যবহার করতে পারে। তার আয় রোজগারের ব্যবস্থা এরকম যে যেকোন জায়গা থেকে টাকা পয়সা রোজগার করা তার জন্য কোন ব্যাপার নয়।
তাই প্রকৃতপক্ষে ধনী হতে গেলে আপনার জীবনের সম্পদ জমিয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার কোন প্রয়োজন নেই। অথবা খুব বড় আয়-রোজগারের চাকরি কিংবা ব্যবসা করারও প্রয়োজন নেই।
ধনী হওয়ার জন্য আপনার যে তিনটে জিনিস সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেগুলো হলো, শারীরিক শ্রম, মানসিক শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগ। এগুলোর প্রত্যেকে যদি আপনার ভেতরে প্রচুর পরিমাণে থেকে থাকে, তবে ভবিষ্যতে আপনাকে ধনী হতে কেউ আটকাতে পারবে না।
শুধু তাই নয়, ধনী হওয়ার কিছু পদ্ধতি যদি আপনি আপনার অল্প বয়স থেকেই অবলম্বন করা শুরু করেন, তবে একটা বয়সে যেয়ে আপনার এই পদ্ধতিগুলো অভ্যাসে পরিণত হবে।
যার ফলে আপনি খুব সহজেই বড় পরিমাণে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
সাধারণত বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগ না করার কারণেই ব্যক্তি ধনী হয় না। আপনার অবগতির জন্য একটি কথা জানিয়ে রাখা ভাল যে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি যে, তিনিও তার সম্পদ অর্জন করার জন্য দিনে 24 ঘণ্টাই সময় পায়।
আর যে ব্যক্তি রাস্তায় থেকে কোনভাবে জীবন টেনেটুনে চালান তিনিও ঠিক 24 ঘন্টায় সময় পেয়ে থাকেন। মূলত প্রত্যেক মানুষের জন্য সময়সীমা একদম নির্দিষ্ট। কারো কম কিংবা কারো বেশি নয়।
এই নির্দিষ্ট সময় কে যে সঠিক বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন, একমাত্র সেই সফলকাম হবে। ভবিষ্যতে গিয়ে ধনী হবেন। আর যে করতে পারবে না, সে ধনী হবে না। তাকে কোনভাবে টেনেটুনে জীবন চালাতে হবে।
আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হবে ধনী হওয়ার জন্য কিভাবে আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তার সঠিক প্রয়োগ করতে পারবেন।
এই আর্টিকেলটি পড়ে আশা করা যাক আপনি আপনার জীবনে করা বিভিন্ন রকমের ভুল সম্পর্কে সচেতন হবেন এবং তা দ্রুত সংশোধন করার চেষ্টা করবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে আর্টিকেলটির মূল অংশে প্রবেশ করা যাক।
পদ্ধতি নং ১
আমরা স্কুল কলেজে যাই মুলত শিক্ষা নেওয়ার জন্য। শিক্ষা গ্রহণ করছি মূলত ভবিষ্যতে ভালো চাকুরী করার জন্য। চাকুরী করবো যাতে অভুক্ত অবস্থায় থাকতে না হয়।
ঘুরে ফিরে মূল কথা হচ্ছে জীবনে টাকা কামানোর জন্যই আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এ যেয়ে থাকি। কিন্তু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের সকল রকমের শিক্ষা দিলেও আমরা আমাদের মূল শিক্ষা থেকেই বঞ্চিত হচ্ছি।
টাকা রোজগার করা কিংবা ধনী হওয়ার মূল মন্ত্র আমাদের শিখানো হচ্ছে না। এই সমস্যা থেকে সমাধান পাওয়ার জন্য প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ভালোভাবে ধনী হওয়ার কিংবা টাকা রোজগার করার সকল রকমের গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান করা উচিৎ।
যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের টাকার মাধ্যমে ধনী হওয়া থেকে বঞ্চিত রেখেছে তাই আমাদের নিজেদেরকেই এই শিক্ষা নিজ দায়িত্বে গ্রহন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিখ্যাত বই "রিচ ড্যাড পুওর ড্যাড" বইটি আপনাদের সকলের পড়া প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।
এই বইটতে আলোচনা করা হয়েছে কীভাবে পুওর ড্যাড তার সন্তানকে শিক্ষা দান করে এবং রিচ ড্যাড তার সন্তানকে ধনী হবার শিক্ষাদান করে।
এই বইটি যদি ছোটবেলা থেকে আপনার সন্তানকে পড়ানো হয়ে থাকে, তবে বড় হয়ে সে ধনী হবার সকল রকমের পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন হবে।
পদ্ধতি নং ২
আপনাকে বুঝতে হবে আপনার আয়-রোজগারের বেশিরভাগ অংশ যেন এসেস্ট তথা ঘর বাড়ি গাড়ি বিজনেস চাকরি এবং অন্যান্য জিনিসের উপর ইনভেস্ট করতে।
আর ইনকাম এর মিনিমাম অংশ লিয়াবিলিটিস তথা অল্প গুরুত্বপূর্ণ জিনিসের উপর খরচ করতে। যেমন মোবাইল বাইক ল্যাপটপ ইত্যাদি।
পদ্ধতি নং ৩
আপনার ইনকাম সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে। আপনাকে একটিভ ইনকাম এবং প্যাসিভ ইনকাম এর মধ্যকার পার্থক্য বুঝতে হবে এবং উভয়ের ক্ষেত্রে পারদর্শীতা প্রদর্শন করতে হবে।
মনে রাখবেন কখনো নির্দিষ্ট একটা কাজ করে ধনী হওয়া সম্ভব না। একাধিক কাজ করলে তবে অনেক বেশি পরিমাণে টাকা আসতে থাকবে। এই ক্ষেত্রে আপনার ইনকাম এর দুটি অংশে ভাগ করতে হবে।
একটি হচ্ছে একটিভ এবং অন্যটি হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম । মূলত আপনার কোন কিছুর প্রতি টাকা ইনভেস্ট করে দীর্ঘ সময়ের জন্য রোজগার করাকে প্যাসিভ ইনকাম বলে।
যেমন আপনি ইউটিউবে কোন ভিডিও ছেড়ে দিলে যত সময় বাড়বে, তত ভিউজ বাড়বে এবং আপনার একাউন্টে ততবেশি ডলার জমা হতে থাকবে।
প্যাসিভ ইনকাম আর একটিভ ইনকাম এর মধ্যকার পার্থক্য হচ্ছে প্যাসিভ ইনকাম আপনি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা রোজগার করতে পারেন।
সুপ্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ হচ্ছে। সম্পূর্ণ পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।