পেট ও উরুর মেদ কমানোর জন্য যা যা করতে পারেন

পেট ও উরুর মেদ সত্যিই খুব যন্ত্রনা দেয়। এই উড়ে এসে জুড়ে বসা সমস্যাটা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আর্টিকেলটিতে কিছু পদক্ষেপ বলে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত এই মেদ ঝরাতে কী করবেন তা জানতে হলে আর্টিকেলটি পড়ুন।

পেট ও উরুর মেদ কমানোর জন্য যা যা করতে পারেন
পেট ও উরুর মেদ কমানোর জন্য যা যা করতে পারেন

স্থূলকায় ব্যক্তিদের সবথেকে বড় সমস্যা হচ্ছে তাদের অতিরিক্ত পেট এবং উরুর মেদ। স্বাস্থ্য ভালো হওয়া এবং অতিরিক্ত স্থূলকায় হওয়ার মধ্যে বিরাট তফাৎ রয়েছে।


একজন স্বাস্থ্য ভালো ব্যক্তি সাধারণত আকার-আকৃতিতে সাধারণের তুলনায় হালকা স্বাস্থ্যবান হতে পারে কিন্তু অতিরিক্ত স্থূলকায় ব্যক্তির দেখা যাবে প্রচুর পরিমাণে শারীরিক ওজন বিদ্যমান থাকে।


শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মেদ চর্বি জমে জমে মূলত স্থূলকায় ব্যক্তিদের এই অসহ্যকর সমস্যা সৃষ্টি করে। নানা কারণে কোন ব্যক্তি স্থূলকায় হয়ে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে অনেকের এটি বেশি বেশি খাওয়ার কারণে হয়ে থাকে। আবার অনেকের বংশগত কিংবা হরমোনজনিত কারণে প্রচুর পরিমাণে স্থূলকায় হয়ে থাকেন।


তবে যাই হোক না কেন, কেউই অতিরিক্ত মোটা হতে চান না। কেননা আমরা সকলেই জানি প্রচুর পরিমাণে মোটা যারা হয়ে থাকেন তাদের নানা রকম শারীরিক সমস্যা হয়। দ্রুত ডায়াবেটিস হওয়া, হার্ট ব্লক হওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা ছাড়াও কোন কাজে দ্রুত গতিতে করা সম্ভব হয় না।


সেই সাথে অল্প কাজেই হাঁপিয়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি নানা রকম সমস্যা যেন লেগেই থাকে। সব মিলিয়ে তাই কোন ব্যক্তিই স্থূলকায় হতে চান না।


সবথেকে বড় অসুবিধাটা হয় যখন পেট ও উরুর মেদ অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এই উভয়ের জন্যই একজন ব্যক্তিকে অনেক বেশি মোটা দেখায় এবং তারা খুব সহজে কোন কাজ করতে পারে না। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে উরু এবং পেটের মেদ কমানোর জন্য কি কি করা যেতে পারে তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটি আলোচনা করা হবে।


আশা করা যায় আর্টিকেলটি আপনারা সম্পূর্ণ পড়বেন এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করবেন। তাহলে চলুন দেরী না করে শুরু করা যাক।


১.
প্রথমে আপনাকে যে কাজটি করতে হবে- একদম ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। মনে রাখবেন আপনি সকালে যত দ্রুত উঠতে পারবেন তত বেশি সময় আপনার হাতে থাকবে কাজ করার জন্য। যদি আপনি অলসতা বশত এবং দেরি করে ঘুম থেকে উঠে থাকেন তবে ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রচুর সময় আপনি ঘুমিয়েই নষ্ট করে থাকেন।


সুতরাং একদম ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। সেই সাথে হাটতে বের হন এবং সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে দৌড়ানো শুরু করুন। সম্ভব হলে সাইকেল চালানোর অভ্যাস শুরু করে দিন।


সাইকেল চালালে আপনার পায়ের শক্তি যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনই মেদ কমে আসবে। সুস্থ থাকতে হলে সকল ব্যক্তিদের এই কাজটি করা উচিত।


২.
চেষ্টা করবেন যত কম বসে থাকা যায় এবং যত বেশি ব্যস্ত থাকা যায়। সারাদিন এখানে সেখানে শুয়ে বসে না থেকে কাজ করুন। দুনিয়ার কাজকর্ম মাথায় নিয়ে এসে সকল কাজকর্ম সম্পন্ন করুন।


আপনি যদি অফিসে চাকরি করে থাকেন তবে আপনার কর্মস্থলে কোনো রকমের যানবাহন ব্যবহার না করে হেঁটে হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে করেও কিন্তু আপনার শারীরিক ব্যায়াম হয় এবং শরীরকে সর্বদা সচল রাখার জন্য অতিরিক্ত মেদ কমে আসে।


৩.
ধীরে ধীরে দৌড়ানোর অভ্যাসটা আয়ত্ত করুন। মনে রাখবেন যত বেশি দৌড়াবেন ততবেশি আপনার শরীর থেকে ঘাম বের হবে। আর এ ঘাম বের হওয়ার অর্থই হচ্ছে মেদ ঝরে যাওয়া। তাই যতই কষ্ট হোক না কেন দৌড়াতে থাকুন। আপনার উরু ও পেটের মেদ কমানোর জন্য দৌড়ানোর ভূমিকা অপরিসীম।


প্রথম প্রথম হয়তো একটু কষ্ট হবে। কিন্তু পরবর্তীতে আপনার অভ্যাস হয়ে গেলে আর তেমন কষ্ট হবে না।


৪.
মেদ ঝরানোতে জল খাওয়ার অভ্যাস করার গুরুত্ব অপরিসীম। আপনাকে প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করার ফলে শরীরের অতিরিক্ত টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। যার ফলে মেদ জমার সুযোগ পায় না।


তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন এবং মেদ জমতে দেওয়ার সুযোগ বন্ধ করে দিন।


৫.
মেদ ঝড়াতে একটা পারফেক্ট ডায়েট চার্ট রুটিন মেনে চলা শুরু করুন। সেই সাথে স্বাস্থ্যকর খাবার খান। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তাজা ফলমূল, টক দই, লো ফ্যাট চিজ খেতে পারেন।


এটা আপনার শরীরের জন্য যেমন ভালো তেমন আপনার মেদ ঝরাতেও সহায়ক।


সুপ্রিয় পাঠক, প্রথম প্রথম পেট ও উরুর মেদ কমানোর জন্য উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো মেনে চলতে আপনার বেজায় কষ্ট হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন আপনার ইচ্ছাশক্তি যে কোনো কষ্টকে হার মানাতে সক্ষম।


সুতরাং ভয় না পেয়ে এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয় উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো মেনে চলুন। আশা করা যায় আপনি খুব দ্রুত আপনার সাফল্য দেখতে পাবেন।


আজ এ পর্যন্তই, ধন্যবাদ।


আরও পড়ুনঃ দ্রুত বার্ধক্য হয়ে যাওয়ার তিনটি প্রধান লক্ষণ