প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের পাপড়ি সুন্দর হবে, মাত্র ৩০ দিনে!
আইল্যাশ প্রেমী নারীদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক ধামাকাদার হতে চলেছে। আমার মতে প্রত্যেক নারী নিজেদের আইল্যাশ খুব পছন্দ করে থাকে। সুতরাং যত বড় আইল্যাশ যত ঘন হবে ততই তাদের জন্য ভাল।

চোখের পাপড়ি লম্বা ও ঘন করা যেন প্রত্যেক নারীর স্বপ্ন হয়ে থাকে। খেয়াল করে দেখবেন নিজেদের চোখের সৌন্দর্যতা বাড়াতে মেকআপ এর পাশাপাশি আলগা চোখের পাপড়িগুলো তারা লাগিয়ে থাকেন।
এতে করে যেমন তাদের দেখতে অসাধারণ সুন্দর লাগে ঠিক তেমনি চোখগুলো দেখতেও মায়াবী ও অনেক বড় বড় দেখায়। প্রত্যেক পার্লারে দেখা যায় আই মেকআপ এর সময় আলগা চোখের পাপড়ি তথা ফেক আইলাশ লাগিয়ে দেওয়া হয়।
কিন্তু ফেক আইলাশ লাগিয়ে কেনই বা নিজেকে সান্ত্বনা দিতে যাবেন যখন প্রাকৃতিক ঘরোয়া উপায়ে নিজের প্রাকৃতিক আইল্যাশ গুলোকেই লম্বা ও ঘন করা সম্ভব?
জি ঠিক শুনেছেন!
ঘরে থাকা কিছু উপাদান চোখের পাপড়িতে এপ্লাই করলেই কিন্তু খুব দ্রুত চোখের পাপড়ি লম্বা ও ঘন হয়ে ওঠে। এই সত্যটা জানার পর আপনার কি আর ইচ্ছা করবে ফেক আইলাশ পরে মেকাপের সৌন্দর্যতা বৃদ্ধি করে চোখকে মায়াবী করতে? যে জায়গায় আপনি আপনার ন্যাচারাল আইল্যাশ খুব সহজেই বড় করতে পারবেন।
আইল্যাশ প্রেমী নারীদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি অনেক ধামাকাদার হতে চলেছে। আমার মতে প্রত্যেক নারী নিজেদের আইল্যাশ খুব পছন্দ করে থাকে। সুতরাং যত বড় আইল্যাশ যত ঘন হবে ততই তাদের জন্য ভাল।
আর আপনাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হবে কিভাবে মাত্র ৩০ দিনে চোখের পাপড়ি লম্বা ও ঘন করা সম্ভব। তাহলে চলুন আমরা আর দেরি না করে আর্টিকেলটির মূল অংশে প্রবেশ করে ফেলি।
প্রতিনিয়ত আঁচড়ানো
চোখের পাপড়ি ঘন ও বড় করার জন্য একে চুলের মত প্রতিনিয়ত আঁচড়ানো যেতে পারে। নিয়মিত চোখের পাপড়ি আঁচড়ালে রক্তপ্রবাহ দ্রুত ত্বরান্বিত হয়। আর আমরা জানি রক্তপ্রবাহ ত্বরান্বিত হলে তা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
চোখের পাপড়ি বৃদ্ধি করার জন্য যদি আপনি আপনার প্রয়োজন মনে করেন তবে এক্ষেত্রে বিশেষ ধরনের ব্রাশ ব্যবহার করুন। সব থেকে ভালো হয় মাশকারায় কয়েক ফোঁটা ভিটামিন-ই যোগ করে সেই মাশকারা দিনে দুইবার করে ৫ মিনিট ব্রাশ করা। এতে করেও কিন্তু আজ সোনার কাজটি হয়ে যায়।
ডিমের মাস্ক ব্যবহার করা
আপনারা হয়ত জেনে থাকবেন চুলে ডিমের ব্যবহার করা কত ভালো। ডিমে থাকা প্রোটিন চুলের একেবারে গভীর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। যা চুল কে মজবুত করতে সহায়তা করে, বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং খুব সহজে ঝরে যাওয়া থেকে বাধা দেয়। চোখের পাঁপড়ির ক্ষেত্রেও আপনারা চাইলে একই পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন।
ডিমের এই ক্যারোটিন এবং বি গ্রুপ ভিটামিন থাকায় চোখের পাপড়ি বৃদ্ধিতে ডিম অনেক সহায়তা করতে পারে। একই সাথে চোখের পাপড়ি ঝরে যাওয়া থেকে বাধা দেয়। আপনি ডিমের এই মাস্কটি কিভাবে চুলে ব্যবহার করতে পারবেন?
এক্ষেত্রে আপনাকে যেটা করতে হবে - সম্পূর্ণ একটি ডিমে ১ টেবিল চামচ গ্লিসারিন অথবা পেট্রোলিয়াম জেলি ঢেলে ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে এবং সপ্তাহে তিনবার করে কয়েক মাস এক মাস্কটি ব্যবহার করুন। আশা করা যায় ভাল ফলাফল পাবেন।
মাসাজ করা
চোখের পাপড়ির গোড়ায় যদি প্রতিনিয়ত হালকা ম্যাসাজ করা যায় তবে এর রক্তসঞ্চালন দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই আপনারা নির্দিষ্ট সময় করে অলিভ অয়েল চোখের পাপড়িতে মাসাজ করতে পারেন।
প্রতি সপ্তাহে কয়েকবার করে করলেই খুব দ্রুত ফলাফল নিজের চোখে দেখতে পাবেন।
পেট্রোলিয়াম জেলি
পেট্রোলিয়াম জেলি কিংবা ভেসলিন চোখের পাপড়ি বৃদ্ধিতে সহায়ক। সুতরাং ঘুমানোর পূর্বে যদি চোখের পাপড়িতে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ভেসলিন মাসাজ করে ঘুমাতে যাওয়া হয় তবে চোখের পাপড়ি খুব দ্রুত ঘন ও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
প্রতি রাতে এটি অনুসরণ করুন এবং ঘুম থেকে ওঠে পরিষ্কার তোয়ালে বা টিস্যু দিয়ে চোখ ধুয়ে ফেলুন। এই জিনিসটির অন্য একটি সুবিধা হচ্ছে, আপনার চোখে ময়লা জমলে সেটি খুব সহজেই সকালবেলা তুলে ফেলা যাবে।
তেলের ব্যবহার
বিভিন্ন তেল ব্যবহারেও কিন্তু চোখের পাপড়ি ঘন হওয়া ও লম্বা হওয়ার প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করা যায়। এই ক্ষেত্রে আপনারা ক্যাস্টর অয়েল, নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
কেননা এগুলোতে রয়েছে ফ্যাটি এসিড যা শরীরের গ্রন্থিকোষকে পুষ্টি যোগায় এবং সুস্থ-সুন্দর রাখে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে যেকোনো একটি তেল বা দুই-তিনটি তেল একত্রে মিশিয়ে সেটি যদি চোখের পাপড়িতে লাগাতে পারেন তবে খুব ভাল ফলাফল পাবেন আশা করা যায়।
গ্রিন টির ব্যবহার
গ্রীন টি তে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন যা চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। কড়া গ্রিন টি তৈরি করে ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর তুলার সাহায্যে পাপড়িতে লাগাতে পারেন। তবেই ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
এই পদ্ধতিটি দিনে দুবার ব্যবহার করা শুরু করুন।
পুষ্টিকর খাবার
ভিটামিনের অভাব যদি শরীরে দেখা দেয় তবে চোখের পাপড়ি পড়ে যাবার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তাই আপনাকে প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি খেতে হবে। বিশেষ করে মাছ মাংস ডিম ফল-সবজি বাদাম ইত্যাদি।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা
চোখের পাপড়ি ঝরে পড়া রোধ করতে ও ঘন করার জন্য এর প্রতি যত্নশীল হওয়া অনেক প্রয়োজন। তাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা খুব ভালোভাবে মেইনটেন করতে হবে। কখনোই মাশকারা চোখের পাপড়িতে লাগিয়ে ঘুমাতে যাবেন না।
মেকআপ রিমুভার ব্যবহার করে চোখে মাশকারা তুলে ফেলার পর আবার সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে সমস্ত মুখমন্ডল ধুয়ে ফেলবেন। তাছাড়া প্রতিনিয়ত মেকআপ করা যাবে না।
মেকআপ থেকে বিরতি নিন। আর কখনো যদি দেখা যায় প্রসাধনীর অন্তর্গত মাশকারার বয়স তিন থেকে পাঁচ মাসের বেশি হয়ে গেছে তবে সেটা আর ব্যবহার না করাই ভালো।
সুপ্রিয় পাঠক, উপরোক্ত পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে আশা করা যায় আপনি এক মাসের ভিতরে ঘন ও লম্বা চোখের পাপড়ি পেয়ে যাবেন।
আর্টিকেলটি আশা করি আপনাদের ভাল লেগেছে। আজ তাহলে এখানেই ইতি টানছি, ধন্যবাদ।