বিশ্বের শীর্ষ তিন ইউটিউবারের গল্প জানুন

ইউটিউবে কন্টেন তৈরী করা এক ধরনের পেশা হিসাবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কারণ এখানে নিজের ভালো অবস্থান তৈরী করতে পারলে চাকরির মত প্রতিনিয়ত অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়ে উঠছে। আজ কথা বলবো এই প্ল্যাটফর্মের শীর্ষ তিন ইউটিউবারের চ্যানেল তৈরী ও ভিতরের গল্প।

বিশ্বের শীর্ষ তিন ইউটিউবারের গল্প জানুন
ফটো গ্রহণ করা হয়েছে arabianbusiness.com থেকে

বর্তমান ইন্টারনেট জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম হলো ইউটিউব। যেখানে বিভিন্ন ধরনের সবচেয়ে বেশি ভিডিও কন্টেন্ট সংরক্ষিত আছে।


যে কোন ব্যক্তি ইন্টারনেট সচল রেখে সেখানের সকল কন্টেন্ট উপভোগ করা সুযোগ পান। এই কন্টেন্টগুলো আবার ইউটিউব নিজে তৈরী করে না।


এই প্ল্যাটফর্মের কিছু ক্রিয়েটর আছেন, যারা নিজেদের পছন্দ অনুসারে কন্টেন্ট তৈরী করেন। তারপর সেখানের নিয়ম অনুসারে আপলোড করলেই দর্শকরা দেখতে পান।


এই প্ল্যাটফর্মে নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূর্ণ হলে নির্মাতারা অর্থ আয় কারারও সুযোগ পান। ফলে প্রতিনিয়ত এই প্ল্যাটফর্মে বৈচিত্ররকমের নির্মাতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে প্রতিদিন দর্শক সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।


এখন ইউটিউবে কন্টেন্ট তৈরী করা এক ধরনের পেশা হিসাবেও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কারণ এখানে নিজের ভালো অবস্থান তৈরী করতে পারলে চাকরির মত প্রতিনিয়ত অর্থ উপার্জন করা সম্ভব হয়ে উঠছে।


আজ কথা বলবো এই প্ল্যাটফর্মের শীর্ষ তিন ইউটিউবারের চ্যানেল তৈরী ও ভিতরের গল্প। শীর্ষ ইউটিউবারদের কথা বলতে গেলে শুরুতেই আসে কেজেলবার্গের নাম, যার ইউটিউব চ্যানেলের নাম পিউডিপি।


১. পিউডিপি - PewDiePie

পিউডিপি চ্যানেলের পরিচালনাকারী একজন সুইডিশ ইউটিউবার। তিনি ১৯৮৯ সালে সুইডেনের গোথেনবার্গে জন্মগ্রহণ করেন।


২০১০ সাল থেকে ইউটিউবে কন্টেন্ট তৈরী করছেন। তার চ্যানেলে বর্তমান সাবস্ক্রইবার সংখ্যা ১১০ মিলিয়ন।


পিউডিপি চ্যানেলের ইতিহাস

সুইডেনে জন্মগ্রহণকারী এক যুবক হলো কেজেলবার্গ। ২০০৯ সালের ২৯ শে এপ্রিল ভিডিও প্ল্যাটফর্মে গেমস খেলতে শিল্প প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে, তার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট চালু করেছিলেন।


প্রথমে জামার্নিও নাৎসি বাহিনীর নির্যাতনের কিছু খন্ড চিত্র প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও তিনি মনোমুগ্ধকর এবং মজাদার বিভিন্ন বিষয়ে ভিডিও তৈরী করে থাকেন।


এরপরই তিনি প্ল্যাটফর্মে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। ২০১৫ সালের মধ্যে তার তৈরী ভিডিও ১০ বিলিয়ন বার দেখার রেকর্ড তৈরী করেছিলো।


এর আগে ২০১৩ সালে ইউটিউবে সর্বাধিক সাবস্ক্রাইব হওয়া ব্যক্তিত্ব হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন গ্রাহককে ছাড়িয়ে প্রথম ব্যক্তি ইউটিউবার হওয়ার পরে শিরোনাম হয়েছেন।


টাইম ম্যাগাজিন ইউটিউবার ২০১৬ সালের বিশ্বের ১০০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন হোন তিনি।

স্যামসাং কোম্পানীর ইতিহাসঃ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও আওতা

গুগলের আবিষ্কার ও ইতিহাসঃ কিছু না জানা তথ্য

ইন্টারনেটের আবিষ্কার ও ইতিহাসঃ বিশ্ব বদলানো আবিষ্কার

ফেসবুকের আবিষ্কার ও ইতিহাসঃ বৃহৎ সামাজিক পরিবর্তন

কম্পিউটারের আবিষ্কার ও ইতিহাসঃ এক ক্রান্তিকারী আবিষ্কার


২. কিডস ডায়না সো - Kids Diana Show

ইউক্রেনের এক ছোট শিশুর নাম ডায়না। যিনি ২০১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এরপর ২০১৫ সালে তার পরিবার বিভিন্ন ছোটবেলার স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরী করেন। যে চ্যানেলের বর্তমান সাবস্ক্রইবার সংখ্যা ৭৯.৭ মিলিয়ন।


ডয়না সো’র ইতিহাস

কিডস ডায়ানা শো একটি ইউক্রেনীয় ইউটিউব চ্যানেল। যেখানে ডায়না নামের একজন মেয়ের ভিডিও প্রকাশ করা হয়। চ্যানেলের বেশিরভাগ ভিডিওতে বিভিন্ন খেলনার রিভিউ ও পারিবারিক ভিডিও পোস্ট করেন।


প্রথমের দিকে ডায়নার খেলনা নিয়ে খেলা, পরিবারের সাথে কাটানো মহুর্তগুলো ভিডিও আকারে পোস্ট করা হয়। অল্পদিনের মধ্যে চ্যানেলে দর্শকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।


এ জন্য ২০১৭ সালে তার বাবা-মা চাকরি ছেড়ে চ্যানেলে ফুলটাইম সময় দিতে থাকেন। ২০২০ সালে তারা পকেটওয়াচের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেন।


পরবর্তীতে বিভিন্ন অ্যানিমেটেড সিনেমা ও ছোট গল্পে তার ভিডিও ব্যবহার করতে শুরু করা হয়। এতে ডায়না আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠে।


২০২১ সালে এই চ্যানেল  ইউক্রেনের সবচেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবারের রেকর্ড গড়ে। পৃথিবীতে বাচ্চাদের জন্য তৈরি দ্বিতীয় বৃহত্তম ইউটিউব চ্যানেলে পরিণত হয়।


এই চ্যানেলের জন্য ডায়নার পরিবার ২০২০ সালের দশম বার্ষিক স্ট্রিমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছিল।


৩. রায়ান্স ওয়ার্ল্ড - Ryan's World

রায়ান্স ওয়ার্ল্ড চ্যানেলের ছোট শিশু রায়ান গেইন। যিনি ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে জন্মগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে ইউটিউবে কন্টেন্ট তৈরী করতে শুরু করেন।


যার চ্যানেলের বর্তমান সাবস্ক্রইবার ২৯.৭ মিলিয়ন। তিনি শিশুদের বিভিন্ন খেলনার রিভিউ করে থাকেন।


রায়ান্স ওয়াল্ডের ইতিহাস

ছোটবেলা থেকে রায়ান ছিলেন অত্যন্ত খেলনা প্রিয় শিশু। তাকে সামলানোর জন্য রায়ানের মা স্কুলের শিক্ষকতার চাকরি ছেড়ে দেন। তবুও ছেলের মন খেলনা থেকে দূরে নিয়ে আসতে পারেনি।


ছোট ছেলেটা সকল ধরনের খেলার সামগ্রী পরিচালনায় বেশ দক্ষ হয়ে উঠেন অল্প বয়সে। ২০১৭ সালে রায়ানের মা-বাবা পকেটওয়াচের সাথে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করলেন।


এটি স্টার্টআপ চিলড্রেন মিডিয়া সংস্থা। পকেটওয়াচ রায়ের ইউটিউব চ্যানেলগুলির বিপণন ও পণ্যদ্রব্যের বিজ্ঞাপন তৈরী করে থাকেন।


২০১৮ সালে রায়ান টয়জরভিউ পকেটওয়াচ এবং ওয়াইল্ড ওয়ার্কসের সহযোগিতায় আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েডের জন্য বাচ্চাদের প্রতি লক্ষ্যযুক্ত একটি গেইম তৈরী করে।


এর মাধ্যমে রায়ান আরো বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠলো। সেই সাথে ডিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে তার বেশ জনপ্রিয়তা হলো।


এভাবে রায়ান্স ওয়াল্ড চ্যানেলের জন্ম। সর্বশেষ ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জনের তালিকায় উঠে এই চ্যানেল।


আরও পড়ুনঃ নতুন ব্লগারদের জন্য সেরা ৩টি ওয়ার্ডপ্রেস থিমের তালিকা