ব্যবসা করতে চান অথচ মাথায় আইডিয়া আসছে না? আর্টিকেলটি পড়ুন

অনেকেই আছেন যারা বিজনেস নামাতে চাইলেও পরিপূর্ণ পরিকল্পনা ছাড়া নামাতে পারেন না। তারা যাতে সহজে নিজেদের বিজনেস নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে পারে তার জন্য আর্টিকেলটিতে শেয়ার করা হয়েছে কিছু টিপস

ব্যবসা করতে চান অথচ মাথায় আইডিয়া আসছে না? আর্টিকেলটি পড়ুন
ব্যবসা করতে চান অথচ মাথায় আইডিয়া আসছে না? আর্টিকেলটি পড়ুন


আপনি ব্যবসা করতে চান? এমন কিছুর ব্যবসা করতে চান যেটা হুট করে সফল হয়ে যাক? তার জন্য আপনি সবকিছুই করতে রাজি? আপনার কাছে বিরাট পরিমাণের ইনভেস্টমেন্টে টাকাও রয়েছে।


আপনি ভাবছেন ঠিক কোন বিজনেস দিয়ে আপনি আপনার নিজের ব্যবসাটা শুরু করতে পারেন? চারিদিকে তাকালেই বিজনেস আর বিজনেস। এখন আপনি ঠিক কোন বিষয়টাকে নিয়ে বিজনেস শুরু করলে সেটা বেশ বহুদূর আগাবে? 

ধরা যাক আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টের বিজনেস করার সিদ্ধান্ত নিলেন। সবকিছু জেনেশুনে ইনভেস্টের টাকা পয়সা মিলিয়ে যে কোন একটা প্রোডাক্টের বিজনেস করা কিছুদিনের ভেতর শুরু করে পরিকল্পনা করে আপনি আপনার বিজনেস এর সেই কাঙ্খিত প্রোডাক্টটি নিয়ে মাঠে নেমে গেলেন। কিন্তু বেশ ব্যর্থ হলেন প্রথম চেষ্টাতেই।

স্বাভাবিকভাবেই সকল বিজনেসম্যান শুরুতে বিজনেস এর সফলতা অর্জন করে না। ধীরে ধীরে করে। যতবার বিজনেসে লস খেয়ে যায় ততবার  নিজে নিজেকে শুধরানোর চেষ্টা করে পরবর্তীতে একই ভুল না হওয়ার জন্য। তবে কোন বিজনেস এ নামার আগে অবশ্যই একটা নির্দিষ্ট প্ল্যান করে নেমে যাওয়া উচিত।


কেননা কোনো রকমের চিন্তা ভাবনা, দূর্দান্ত পরিকল্পনা ছাড়া আপনার বিজনেস নামক মহৎ এই বিশ্বের সাথে পাল্লা দেওয়াটা ঠিক হবে না। এখন আপনি বলতে পারেন আপনার বিজনেস সম্পর্কে ভালো ধারণা আছে। ইনভেস্ট এর জন্য প্রচুর পরিমাণে টাকাপয়সাও রয়েছে, নেটওয়ার্ক স্কিলও অত্যাধিক ভালো। কিন্তু তবুও আপনি মাথা খাটিয়ে উত্তম উত্তম বিজনেস আইডিয়া বের করতে পারেন না।


বিজনেস আইডিয়ার জন্য সর্ব সময় আপনি অন্যের ওপর নির্ভরশীল থাকেন। যা আপনার বিজনেসের বিরাট বড় ক্ষতির কারণ। ইনভেস্টর, ইনভেস্টমেন্টের টাকা পয়সা মহৎ উদ্দেশ্য সকল কিছু ছাড়াও সবথেকে বড় বিষয়টি হচ্ছে গিয়ে বিজনেস আইডিয়া মাথায় আনা। এখন আপনার মাথায় যদি বিজনেস চালানোর জন্য কোন দুর্দান্ত আইডিয়া না এসে থাকে তবে আপনি সেই বিজনেসে সবসময় সফলতা অর্জন করার আশা রাখবেন না।


আপনি হয়তো ভাবতে পারেন সকলের মস্তিষ্ক এক রকমের কাজ করে না। সুতরাং অন্য ব্যক্তি যেভাবে শুরুতেই বিজনেস এর সফলতা অর্জন করে সেভাবে আপনি  সফলতা অর্জন করবেন না। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়টা এরকম না। আপনি যদি একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা ভাবনা করার চেষ্টা করেন তবে আপনার মাথায় বেশ দারুন দারুন বিজনেস আইডিয়া এসে পড়বে।


আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা আপনাদের সাথে, বিশেষ করে যারা ব্যবসা করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এমন কিছু বিজনেস আইডিয়া মস্তিষ্কে হিট খাওয়ানোর যত রকমের পদ্ধতি আছে তা শেয়ার করব। তাহলে চলুন আমরা আর দেরি না করে আর্টিকেলটির মূল অংশে প্রবেশ করে ফেলি।


বিজনেস আইডিয়া চট করে মাথায় আসে না। ধৈর্য সহকারে এবং দীর্ঘক্ষণ মাথা খাটানোর মাধ্যমে আনতে হয়। আপনি বিজনেস আইডিয়া নিজের মাথায় আনার জন্য নিম্নোক্ত পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করতে পারেন-

 


দ্ধতি নাম্বার ১:

সর্বপ্রথম আপনার মাথা থেকে এটা ঝেড়ে ফেলা উচিত যে, অন্য কোনো ব্যক্তির মস্তিস্ক আপনার থেকে উর্বর, বিধায় সে তার বিজনেস লাইফে সফলতা অর্জন করছে এবং আপনার মস্তিষ্ক বেশ ভোঁতা দেখে আপনি আপনার জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারছেন না।


আপনার এই ধরনের চিন্তাভাবনা আপনার ক্যারিয়ারে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে। আর তাই আপনাকে সর্ব প্রথমে যেটা করতে হবে সেটা হল এ ধরনের মনমানসিকতা পুষে না রাখা। নিজেকে ভাবতে শেখান আপনিও কারো থেকে কম না, বরং আপনার দ্বারাও একটা সফল বিজনেস দাড়া করানো সম্ভব।

 


পদ্ধতি নাম্বার ২:

একবার নিজের মনকে শক্ত করে নিয়ে যদি নিজেকে বোঝাতে পারেন আপনার পক্ষে একটি দারুন বিজনেস দাড় করানো সম্ভব সেক্ষেত্রে আপনার পথে বাধা হতে কারো সাধ্যি নেই। তাই দুই নাম্বার পদ্ধতিটি হবে ফ্রি মাইন্ডের চিন্তাভাবনা করা।


আপনার সুবিধার্থে একটা কথা বলে রাখা ভালো যে, মহৎ বিজনেস আইডিয়া কোন ল্যাব তথা গবেষণাগার কিংবা বড় বড় কোন জায়গা থেকে আসে না। একটা মহৎ বিজনেস আইডিয়া বন্ধুদের সাথে আড্ডার ছলে এসে পড়ে কিংবা পরিবারের ব্যক্তিদের সাথে কথা বলতে বলতে হুট হাট করে অনেক ধরনের বিজনেস আইডিয়া চলে আসতে পারে।


তাই বিজনেস আইডিয়া আপনার মাথায় আনার জন্য সুদূর চীন দেশে যেতে হবে এ ধারণা দয়া করে ত্যাগ করুন এবং আশেপাশের মানুষদের সাথে মন খুলে বিজনেস নিয়ে আলোচনা করুন। দেখা যাবে আপনার মাথায় একটার পর একটা দুর্দান্ত আইডি আসতেই থাকবে।

 


পদ্ধতি নাম্বার ৩:

ধরুন আপনি জুতার বিজনেস শুরু করলেন। আপনার পূর্বেও কয়েক লাখ মানুষ জুতোর বিজনেস করে আসছে। এখন আপনি তাদেরকে টক্কর দেবেন কি করে? তারা নিশ্চয়ই আপনার থেকে অধিক অভিজ্ঞ এবং তারা তাদের নিজেদের বিজনেস লাইফে বেশ সফল।


সেই ক্ষেত্রে আপনিও যদি জুতার বিজনেস নিয়ে তাদের সাথে কম্পিটিশন করা শুরু করেন আপনার কিন্তু হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকছে। এক্ষেত্রে অন্য ব্যক্তিদেরকে বিজনেসে টক্কর দেয়ার জন্য আপনি যেটা করতে পারেন প্রাচীনকাল থেকে মেনে আসা বিভিন্ন বিজনেস পদ্ধতিকে বা বিজনেস রুলস গুলোকে ভেঙে ফেলুন এবং নিজের মতন করে বিজনেস গড়ে তুলুন।


মনে রাখবেন আপনি যদি নিয়ম মানতে না জানেন এবং প্রতিদিন নতুন কিছু করার চেষ্টা না করেন তবে আপনার পক্ষে সম্ভব না এত এত মানুষের ভিড়ে নিজের বিজনেসকে টিকিয়ে রাখার।

 


পদ্ধতি নাম্বার ৪:

সময়ের সাথে সাথে অনেক কিছু বদলে যায়। একই সাথে বদলে যায় বিজনেস স্ট্রাটেজি। সুতরাং আপনি প্রাচীনকাল থেকে বা বিজনেস জীবন শুরু করার সময় থেকে যেই স্পিডে বা যেই নিয়মে বিজনেস চালু করে আসছিলেন সেটা আধুনিক সময়ে কাজ নাও দিতে পারে।


আর তাই আপনাকে সময়ের সাথে সাথে মডার্ন চিন্তাভাবনা করতে হবে। তাহলে আপনার পক্ষেই সম্ভব নিজের বিজনেসটাকে টিকিয়ে রাখার।


সুপ্রিয় পাঠক মন্ডলী, আজকের আর্টিকেলটি কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। আজকের জন্য এখানেই ইতি টানছি, ধন্যবাদ। শুভ প্রভাত এর সাথেই থাকুন।