ভয় মুক্ত জীবনের কিছু গোপন ও কার্যকারী উপায়
আজকের আলোচনার বিষয় ভয়। প্রথমটা শুনে হয়তো খুবই অবাক লাগতে পারে। কেউ কেউ বলতে পারেন আমি ভয় পাইনা আবার অনেকে বলতে পারেন ভয় পাই ঠিকই, কিন্তু এটা আবার আলোচনার বিষয় হল? আসলে আমরা আমাদের দূর্বল জায়গা গুলো নিয়ে আলোচনা করতে ভয় পাই, এখানেও দেখুন সেই ভয়ের কথাই আসছে। আসলে সব ব্যাপারেই ভয় নামক বেড়ি আমাদের পা জড়িয়ে রাখে, ছিঁড়তে পারলে এগিয়ে যাব নইলে যেখানে জন্ম সেখানেই শেষ। তাহলে একবার পড়েই দেখুন না ।

জীবনটা ডোবা না হয়ে, হয়ে যাবে নদী,
পৃথিবী ভীষণ সুন্দর যদি ভয়শূন্য হতে পারি।
সত্যি কথা বলতে আমরা প্রতিটা মানুষই ভয় পাই। শিশুদের ভয় থাকে না তাই তারা নতুন কিছুর দিকে এগিয়ে যায় তাড়াতাড়ি কিন্তু যত বড়ো হয় ভয় বাড়তে থাকে আর পিছিয়ে পড়তে থাকে । অনেকে এটাও বলতেই পারেন আমি যদি কোনও অন্যায় বা ভুল করে না থাকি তাহলে ভয় কিসের? সেটা তো ঠিকই অন্যায় করলে মানুষ ভয় পায় কিন্তু ভয় তো শুধু অসৎ কাজ করলে ভয়, চোর কে ভয় বা জন্তু জানোয়ার কে ভয় এইটুকুনির মধ্যেই তো সীমাবদ্ধ নয় ভয় অনেক রকমের হয় আর প্রতিটা মানুষ ভয়ের বেড়াজালে আবদ্ধ ।
আসুন দেখে নিই এই জানা ভয় গুলি ছাড়া আর কোন ধরনের ভয় লুকিয়ে আছে আমাদের ভিতরে এবং কি ভাবে সহজ সমাধানের মাধ্যমে সেই ভয় গুলোকে জয় করে এই সুন্দর জীবনটাকে আরও সুন্দর করে তুলতে পারি।
ভয় দুই ধরনের শারীরিক এবং মানসিক। যেমন ধরুন পাহাড়ের উপর থেকে ঝাঁপাতে ভয় কারণ শরীরের ক্ষতি হবে, মারাও যেতে পারি এই ধরনের ভয়গুলি হল শারীরিক ভয়। এইসব ক্ষেত্রে ভয় পাওয়া উচিত।
কিন্তু কিছু ভয় আছে যা আমরা নিজেরাই তৈরী করি যেমন কুসংস্কার জনিত ভয় বা কারুর সাথে কোনও দুর্ঘটনা হয়েছে সেটা দেখে নিজের মনে কাল্পনিক চিন্তার মাধ্যমে ভয়। এগুলি হল মানসিক ভয়। এই মানসিক ভয়গুলি আমাদের জীবনের উন্নতির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
আবার যত ভাবব ভয় পাব না, ভয় কে দূরে রাখার চেষ্টা করব তত ভয় পেয়ে বসবে। আসল কথা ভয়কে বাদ দিয়ে জীবন হয় না কিন্তু তা বলে তো ঘরে ঢুকে বালিশে মুখ গুঁজে পড়ে থাকতে পারি না। তাই চলুন ভয় কে জয় করার সহজ সমাধানের দিকে পা বাড়ানো যাক।যে ভয় গুলো মানুষের মনে বিশেষ ভাবে ঘর করে সেগুলো নিয়ে আজকের আলোচনা এবং তার সমাধান।
1. হারানোর ভয়
হারানোর ভয়ের এর মধ্যে আসে relation, possession এবং ego । Relation এর মধ্যে আসছে husband wife, ছেলে মেয়ে, আত্মীয় স্বজন , বন্ধু বান্ধব মানে সব রকম relation, যাদের আমরা ভীষণ ভালোবাসি তাদের হারাবার ভয়। আর সেই ভয়ে তাদের সব সময় নজরে রাখার চেষ্টা করি, আগলে রাখার চেষ্টা করি, তারা কি ভাবে ভালো থাকবে সেই চেষ্টা করতে গিয়ে তাদের অস্থির করে তুলি তার চেয়ে সম্পর্ক গুলো কে যদি বেঁধে রাখতে না চেয়ে যদি তাদের মত থাকতে দিই, তাহলে সম্পর্ক গুলো সহজ হয়ে যায়। সত্যি কথা বলতে যে বা যারা যাওয়ার তাদের শত চেষ্টা করেও ধরে রাখা তো যায় না।
কিন্তু আমরা নিজেরা প্রথমে সে বা তারা যদি আমায় ছেড়ে চলে যায় এই ভয়ে জীবন নষ্ট করি আবার সে বা তারা ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে বা তাদের ছাড়া বাঁচব কি ভাবে এই ভয়ে বাকি জীবন নষ্ট করি। অন্যদিকে তারা যদি বোঝে তাদের হারাবার ভয় পাচ্ছি তাহলে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে আরও বেশি অপমান করবে, অবহেলা করবে তাই ভালোবাসার মানুষদের কাছ থেকে অবহেলা অপমান পাচ্ছেন বুঝলে আগেই তাদের মুক্ত করুন যদি তারা সত্যিই ভালোবাসে ফিরে আসবে আর নইলে চলে যাবে এখানে ভয়ের কোনও যায়গা নেই। সব সময় মনে রাখবেন কারুর জন্যই জীবন থেমে থাকে না, জীবন তার গতি পথে বয়ে চলে।
Possession হলো সম্পত্তি যার যতটুকু আছে হারাবার ভয় বা বিশেষ কোনও একটা জিনিসের প্রতি আকর্ষণ যেটা ছাড়া আমি বাঁচব না এই রকম একটা ভয়। যখন কোনও একটা জিনিসের প্রতি এই রকম আকর্ষণ তৈরি হবে প্রথম থেকেই সেই জিনিস থেকে মাঝে মাঝেই দূরত্ব সৃষ্টি করুন, আসতে আসতে সেটা হারানোর ভয় কেটে যাবে।
ধনী ব্যক্তিরা গাড়ি সব সময় ব্যবহার না করে হাঁটা পথটাও ব্যবহার করুন। সব ধরনের খাওয়ার অভ্যাস রাখুন যাতে সব ধরনের পরিস্থিতিতে চলতে পারেন কারন জীবন কাকে যে কখন আকাশ থেকে মাটি তে এনে ফেলবে কেউ বলতে পারে না। তাহলে সম্পত্তি হারানোর ভয় থেকে মুক্তি পাবেন।
আর নয় নিজেকে এমনভাবে তৈরি করুন আপনাকে টাকার পিছনে দৌড়াতে হবে না টাকা আপনার পিছনে দৌড়াবে অর্থাৎ একটা মেশিনের আপনি হবেন সেই পার্টস যে পার্টসটা বেরিয়ে গেলে গোটা মেশিন টাই অকেজ হয়ে যাবে। তাহলে আপনার চাকরি হারাবার ভয়ও থাকবে না। বরঞ্চ বিভিন্ন কোম্পানি আপনাকে যেচে কাজের অফার দেবে ।
Ego কি আগে জেনে নেওয়া যাক। Ego হল " আমি" । "আমি" সব, "আমি" সব জানি তুমি কিছু জান না। "আমি" তোমাকে খারাপ কথা বলব তোমাকে শুনতে হবে কিন্তু তুমি আমায় খারাপ কথা বললে তুমি খারাপ।
এই "আমি" থেকে বেড়োতে হবে। কারন যখনই কোনও কাজ এই "আমি" টা পারবে না অন্য কেউ পারবে সেখানে সৃষ্টি হবে হিংসা, রেসারেসি সেইখানেও যখন ঐ "আমি "হেরে যাবে সৃষ্টি হবে ভয় । এই ভয় পালিয়ে যেতে বাধ্য করে সেই জায়গা থেকে বা সেই মানুষ থেকে। কিন্তু আপনার এই পালিয়ে বেড়ানো কোনও দিন থামবে না।
মেনে নিতে শিখুন যে সব কাজ সবাই কে পারতে হবে এমন কোনও কথা নেই। এখানে ভয় বা লজ্জা কোথায়? আর সব চেয়ে বড়ো কথা "আমি" বলে কিছু নেই। "আমি " "তুমি " সব সমান এই কথা টা মেনে নিতে পারলে সব মিলেমিশে এক, সেখানে ভয়ের কোনও জায়গাই নেই।
2. পরীক্ষায় ফেল হওয়ার ভয়
পরীক্ষায় ফেল হওয়ার ভয়ে অনেক বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়ে, অনেক বাচ্চা পরীক্ষা হলে বসে হয়তো কিছু লিখতেই পারল না। এই সমস্যা থেকে বেড় হতে হলে প্রথমেই বলব আমাদের অতীত, ভবিষ্যত থেকে বেড়িয়ে বর্তমানে আসতে হবে।
অর্থাৎ আগে কোন পরীক্ষায় কি হয়েছে সেটা অতীত, ভালো বা মন্দ যে অভিজ্ঞতাই থাকনা কেন যেটা হয়ে গেছে সেটা নিয়ে চিন্তা করা মানে সময় নষ্ট করা। পরীক্ষার জন্য তৈরি হওয়া হল বর্তমান এটা আপনি করছেন এটা আপনার হাতে।
পরীক্ষার পরে যা হবে রেজাল্ট, এই রেজাল্ট হল ভবিষ্যত এটা আপনার হাতে নেই। পড়তে বসে রেজাল্ট কি হবে সেই চিন্তা করতে থাকলে ভয় পেতে থাকলে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন তাতে আপনার ক্ষতি, অসুস্থ হলে পড়ায় মন বসবে না।
পড়তে বসে রেজাল্টের চিন্তা করলে, পড়া থেকে মন সরে যাচ্ছে তাতেও পড়ার ক্ষতি হচ্ছে। পড়তে বসে এটা মাথায় রাখতে হবে যেটা আমাদের হাতে নেই সেটা ভেবে সময় নষ্ট করে লাভ নেই। পরীক্ষার আগে আমাদের যে কাজ পড়াশোনা করা সুতরাং নিজের একশ শতাংশ মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুন রেজাল্ট সেই মতোই ঠিক পাবেন।
3. নতুন কিছু করার ভয়
আমরা নতুন কিছু করতে ভয় পাই। কয়েকটি ধরাবাধা কোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি, সি এ এই রকম কিছু মানে যে বিষয়ে সবাই পড়ছে সেই দিকেই যেতে চাই নতুন কিছু করার প্রবণতা কম, যদি ফেল হয়ে যাই সেই ভয়ে। যেমন ধরুন কেউ সি এ করে ভালো ইনকাম করছে সেই দেখে আমিও সি এ করছি কারণ আমরা নতুন কোনও জগতে পা রাখতে ভয় পাই। মনে রাখবেন যত শিখব তত এগোতে থাকব, এগিয়ে যাওয়াই জীবন।
কোনও ক্রিয়েটিভ বিষয় নিয়ে পড়তে চাই না, নিজেরা চাইলেও হয়তো গার্জেনরা ভয় পান যদি পয়সা জলে যায় যদি সন্তান উজ্জ্বল ভবিষ্যত গড়তে না পারে। কিন্তু আমরা যদি নতুন পথে পা না বাড়াই তাহলে জানব কি করে সেক্ষেত্রে উন্নতি হবে কি না?
ধরে নিন আপনি কোনও কোম্পানিতে চাকরি করছেন মাইনে পাচ্ছেন, আপনার চলে যাচ্ছে কিন্তু আপনার মন সন্তুষ্ট নয় তাতে অথবা মালিকের খারাপ ব্যবহারে আপনি অত্যিষ্ট বা ধরুন আপনার ব্যাবসা করার ইচ্ছে, চাকরিতে মন টিকছে না কিন্তু জোড় করে নিজের মনের গলা টিপে আপনি করছেন কারন আপনি ভয় পাচ্ছেন পাছে আমি ফাইন্যানসিয়াল ফেইলিওর হয়ে যাই। এখানে ফাইন্যানসিয়াল ফেইলিওর হবার ভয় কাজ করছে।
আবার নতুন চাকরিতে যাব কেমন হবে, ভালো না খারাপ সেখানেও ভয় কাজ করছে। আমার সাথে আরও অনেকেইতো করছে একই কাজ আমিও কষ্ট করে সহ্যকরি। এখানে জানা পরিচিত গন্ডির বাইরে বেড় হওয়ার ভয়। আরে আমার পরিচিতির বাইরে না বেড়হলে জানব কি করে সেখানে ভালো হবে না মন্দ হবে!
আসলে আমাদের জানার পরিধিটা খুব ছোট আর সেই পরিধিটাকেই জীবন বলে মেনে নি। আমাদের জানা পরিধির বাইরে যে একটা বিশাল জগৎ আছে, অনেক কিছু জানার আছে করার আছে আমরা সেই বদলটাকেই ভয় পাই ।
ধরুন আপনি আর্ট নিয়ে পড়তে চান কিন্তু যে কারণে সচরাচর কেউ এই পথটাকে কর্ম জীবন হিসেবে নেয় না তাই আপনি ভয় পেয়ে অন্য কোনও পথ বেছে নিলেন যেখানে একঘেয়ে জীবন থেকে বিরক্ত হয়ে উঠছেন হয়তো পাঁচ বছর পর ছেড়েও দিলেন কিন্তু এই পাঁচ বছর সময়টা নষ্ট করে ফেললেন এই পাঁচ বছর সময়টা যদি আপনি আর্টের জন্য দিতেন অনেক উন্নতি করতেন এবং জীবনে শান্তি আসত কারণ আপনার লক্ষ্য ছিল আর্ট আপনি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হলেন। এর থেকে দেখা যাচ্ছে শুধু ভয়ের কারনে আমরা সঠিক ডিশিসন নিতে পারিনা। ফল স্বরূপ আমাদের সারাটা জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
নতুন কিছু করতে গেলে রিস্ক থাকবে তা বলে ভয় পেলে হবে না। ভয় পাওয়া মানে পিছিয়ে যাওয়া। সারা জীবন ধরে মানসিক অশান্তিতে ভোগা। একটাই তো জীবন তাও কি এই ভাবে নষ্ট করে ফেলবেন?
যদি ব্যাবসা করতে চান তবে মাথায় রাখতে হবে, যে জিনিসের চাহিদা বেশি এমন জিনিসের ব্যবসা করতে হবে এবং অল্প পুঁজি নিয়ে নামুন লাভ হলে আবার সামান্য ইনভেস্ট করুন যদি লস হয় তো অল্পের উপর দিয়ে যাবে। ব্যাবসার গতি দেখে ইনভেস্ট বাড়ান।
নতুন কোনও কাজে নামতে গেলে সেটা সম্পর্কে ভালো করে জানুন, কি ভাবে এগোবেন ছক বানান। নেগেটিভ পজিটিভ সব দিক মাথায় রেখে ছক বানান সেই অনুযায়ী চলুন। কতো টাকা আপনার ঝুলিতে আসবে কতো লাভ হবে সেই চিন্তা না করে আগে কতো ভালো ভাবে কাজটা করা যায়, নেগেটিভ দিক গুলো মাথায় রেখে সেই দিকটা কি ভাবে সেভ করে এগোতে পারেন সেই সব দিক সুন্দর করে ছক করে এগোলে টাকার অঙ্ক আপনিই বাড়বে সেখানে লোকসানের ভয় থাকবে না। সে কারণে কোনও ভয়ও থাকবে না।
4. সমাজ কি বলবে তার ভয়
এই ভয়টা পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি ফেস করতে হয়। আসলে সমাজ সব সময় বলার জন্যেই বসে থাকে। আপনি উন্নতি করলেও বলবে অবনতি করলেও বলবে। সমাজের কথা ভেবে যদি আপনি ঘরে বসে থাকেন, তাতে আপনার লোকশান, সমাজ তো খুশিই হবে। আপনার এগোবার পথে বাধাসৃষ্টি করতে পেরেছে, জিতে গেছে। জীবন হল নদী এগোতে দিন।
সমাজ কি চায় তা না ভেবে একবার বসে ভাবুন আপনি কি চান, নিজেকে বুঝুন। নিজেকে একমাত্র নিজেই বুঝতে পারবেন অন্য কেউ নয়। ভয় পেয়ে নিজেকে একটা গন্ডিতে আবদ্ধ করবেন না, শিখুন, জানুন, উন্নতি করুন । শেখা বন্ধ করলেই পিছিয়ে পড়বেন । সময় পেরিয়ে গেলে আর ফিরে আসে না তাই সময় নষ্ট না করে এগিয়ে চলুন, আপনার ইচ্ছেশক্তি ভয় কে হারিয়ে দেবে।
5. মৃত্যু ভয়
আমরা মৃত্যুটা মেনে নিতে পারি না। দেশে বিদেশে কতো দূর্ঘটনা হয় কত মানুষ মারা যায় আমরা সেই ভাবে খোঁজ রাখিনা কিন্তু আমাদের কাছের মানুষরা যখন অসুস্থ হয় আমাদের মধ্যে ভয় কাজ করে। কারণ আমরা তাদের সাথে মানসিক ভাবে ইমোশনাল ভাবে তাদের সাথে জড়িয়ে আছি। তাদের ছেড়ে থাকার কথা আমরা চিন্তাও করতে পারি না কিন্তু জন্ম আছে যখন মৃত্যুও আছে। সবাইকেই একদিন মৃত্যুর সামনে দাঁড়াতে হয়, এটাই সত্যি। আর এই সত্যিটাকে মেনে নিতে পারলে ভয় গায়েব।
অনেক সময় আমরা খারাপ খবর দেখি পড়ি এবং সেই থেকে মনে বিভিন্ন কাল্পনিক ভয় সৃষ্টি হয়। আচ্ছা সবচেয়ে খারাপ আমাদের সাথে কি হতে পারে? পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে, আমরা মরে যেতে পারি তার বেশি তো আর কিছু তো হতে পারে না। একবার ভেবে দেখুন মৃত্যু তো সবারই আসবে একদিন, ভবিষ্যতে কি হবে না হবে এখন থেকে ভেবে ভয় পেয়ে বর্তমান কে কেন নষ্ট করব ? সুতরাং খারাপ খবর দেখা বন্ধ করে জীবনকে আনন্দে ভরে দেয় যেসব জিনিস সেগুলো দেখুন, ভয় আপনার ধারেকাছে ঘেসবেনা।
উপসংহার
সর্ব শেষ বলে যাই ভয় হল একটা অনুভূতি মাত্র তাই অতীত ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা না করে বর্তমানে থাকুন। লোকে কি বলবে চিন্তা না করে নিজেকে নিজে বুঝুন। জন্মের পাশাপাশি মৃত্যুও আছে মেনে নিতে শিখুন।
আর নিজের ঐ "আমি "টা থেকে বেড়িয়ে সবার মাঝে মিশে যান। আপনাদের পরিচিত ঐ ছোট্ট জগতের বাইরে একটা বড়ো জগৎ আছে, পা বাড়ান এই ভয় নামক অনুভূতিটাকে জয় করে জীবনের যতটুকু আনন্দ আছে সবটাকে নিংড়ে নিয়ে উপভোগ করুন।