যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার সম্পূর্ন নিয়মাবলী

আমাদের আজকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড বিষয়ক পোস্টে আমরা জানবো যুক্তরাজ্যের ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার যাবতীয় তথ্যাবলী। আপনারা যদি বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে আমাদের আজকের পোস্ট থেকে বিস্তারিত জেনে নিন।

যুক্তরাজ্যে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার সম্পূর্ন নিয়মাবলী
ফটো গ্রহণ করা হয়েছে timesnownews.com থেকে

ক্রেডিট কার্ড সম্বন্ধে আমাদের জানার শেষ নেই। আমরা যতই জানিনা কেনো ক্রেডিট কার্ড সম্বন্ধে, আমাদের জানা তবুও বাকি থেকে যায়।


আবেদনের নিয়ম, ব্যবহারবিধি, বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, বিভিন্ন পার্থক্য সম্বন্ধে জানার পরেও আমাদের জানা শেষ হয় না।


তাই আমাদের প্রাথমিক ধারণাবলী নেয়ার পর প্রয়োজন হয় আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী সম্বন্ধে জানার। আর সেই ধারা অনুসরণ করাই আমাদের কাজ।


সঠিক বয়সে উত্তীর্ণ হওয়ার পর নিজের প্রথম ক্রেডিট কার্ড পাওয়া সত্যিই খুব প্রয়োজন, কারণ নিজের নিয়মিত প্রয়োজন এবং ইমার্জেন্সি অবস্থায় ক্রেডিট কার্ড খুবই দরকারী নগদ বিকল্প হিসাবে কাজ করে।


আর আপনি যদি এর আগে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার না করে থাকেন, তাহলে আমরা আপনাদের জানাবো কিভাবে আপনারা আবেদন করবেন।


তবে মনে রাখবেন, যেহেতু আমরা আন্তর্জাতিক বিষয়বালী নিয়ে আলোচনা করছি, তাই আজ আমরা জানবো কিভাবে বিদেশে বা যুক্তরাজ্যে কীভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে হয়।


তো চলুন আর দেরি না করে মূল আলোচনা শুরু করা যাক।


যুক্তরাজ্যের গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা, ক্রেডিট কার্ডের আবেদন সম্বন্ধে জানার আগে

প্রথম ক্রেডিট কার্ড হাতে পাওয়ার আগে, যুক্তরাজ্যের গ্রাহকের অবশ্যই জানা উচিত যে, ক্রেডিট কার্ড শুধুমাত্র আপনার সহায়ক বা সুবিধা নয়, এটা আপনার জন্য একটা বড় দায়িত্বস্বরূপ।


"ক্রেডিট" হচ্ছে অর্থ যেটা আপনি ধার নিচ্ছেন, সেটা হোক ক্রেডিট কার্ড, নগদ ধার বা ব্যাংক জমাতিরিক্ত এর মাধ্যমে।


যখন আপনি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন, তখন কোম্পানী পর্যালোচনা করবে যে একজন ধার গ্রাহক হিসাবে আপনি কতটুকু নিরাপদ, অর্থাৎ আপনার ধার পরিশোধের ক্ষমতা যাচাই করে আপনাকে কার্ড এপ্রোভ করা হবে।


আর আপনি যদি কার্ডের জন্য মনোনীত হন, তাহলে আপনার ক্রেডিট রেটিং অনুযায়ী আপনাকে ক্রেডিট লিমিট সেট করে দেয়া হবে।


ক্রেডিট লিমিট হচ্ছে সেই পরিমাণ অর্থ যেটা আপনাকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়া হবে আপনার কার্ডের মাধ্যমে।


প্রতি মাসে আপনাকে কার্ডের ধারের কিছু অংশ করে পরিশোধ করতে হয়, সাথে যুক্ত হয় সুদ ও চার্জ। তবে একবারে আপনাকে সম্পূর্ন অর্থ পরিশোধ করতে হয় না, একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আপনাকে কমপক্ষে পরিশোধ করতে হয় প্রতিমাসে।


তবে সম্পূর্ন টাকা যত দ্রুত সম্ভব পরিশোধ করাই ভালো কারণ এতে আপনাকে সুদ পরিশোধ করতে হবে না।


আরেকটি বিষয় হচ্ছে, প্রথমবার যখন আপনি ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন একজন যুক্তরাজ্যের নাগরিক হিসাবে, তখন আপনার কোনো ক্রেডিট হিস্টোরি থাকবে না।


অর্থাৎ আপনি যে একজন নিরাপদ গ্রাহক এবং লোন পরিশোধের ক্ষমতা রাখেন, এটা প্রমাণ করার কোনো তথ্যই আপনার কাছে থাকবে না।


সুতরাং তখন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে আপনি একজন উচ্চ ঝুকির গ্রাহক হিসাবে বিবেচিত হবেন। হয়তো অনেক কোম্পানী বা ব্যাংক আপনাকে কার্ডের জন্য প্রত্যাখ্যান করতে পারে, তবে এখানে চিন্তার কারণ নেই কারণ আপনি বুঝতেই পারছেন যে এরকম কেনো হচ্ছে।


একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে আপনার কাজ হবে একটি সহজ, সরল ও কম ক্রেডিট লিমিট, চার্জ এবং সুদযুক্ত একটি ক্রেডিট কার্ডের জন্য প্রথমে আবেদন করা।


যাতে আপনি প্রথম একটি কার্ড ব্যবহার করে নিজের ক্রেডিট হিস্টোরি প্রস্তুত করার সুযোগ পান। তবে মনে রাখবেন, নিজের প্রথম ক্রেডিট কার্ড আপনাকে অবশ্যই খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে।


কারণ এই কার্ডের হিস্টোরি আপনাকে ভবিষ্যতের অন্যান্য কার্ডগুলোর এপ্রোভ হওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। প্রথম ক্রেডিট কার্ড খুব সাবধানতার সাথে এবং নিয়মিত ব্যবহার করবেন, আর অবশ্যই নিজের দেনা নিয়মিত পরিশোধ করবেন।


যাতে আপনার ক্রেডিট হিস্টোরি খুব শক্তিশালী হয় আর আপনার ভবিষ্যতে আরো উন্নতমানের কার্ডের আবেদনের ক্ষেত্রে এই হিস্টোরি সহায়তা করতে পারে।


আপনার ক্রেডিট রেটিং ভালো হলে অবশ্যই আপনি ভবিষ্যতে অন্য সকল কার্ডের আবেদনে এপ্রোভাল পাবেন। তবে উল্টোদিকে মাথায় রাখবেন, হিস্টোরি খারাপ হলে অনুরুপভাবেই আপনি প্রত্যাখ্যাত হতে থাকবেন।


আপনার ক্রেডিট হিস্টোরি যত ভালো হবে, ততই আপনি বড় বড় লোন বা ভালো মানের ক্রেডিট কার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ার সুযোগ বেশি পাবেন।


যেমন- গাড়ি বাড়ি বা বন্ধকী লোন পাওয়ার ক্ষেত্রেও আপনার অগ্রাধিকার বাড়তে থাকবে।


যদি আপনি কোনো ক্রেডিট রেটিং বিহীন একজন প্রথন কার্ডের আবেদনকারী হয়ে থাকেন, চিন্তা করবেন না, আপনার জন্য রাস্তা আছে।


আমাদের আজকের সম্পূর্ন পোস্ট পড়ে আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন কিভাবে আপনাকে প্রথম ক্রেডিট কার্ড এপ্রোভাল করাতে হবে।


কীভাবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করবেন? (শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য)

নিচের টিপস এবং তথ্যগুলো তখনই কাজে আসবে যদি আপনি একজন নতুন ক্রেডিট কার্ডের আবেদনকারী হয়ে থাকেন। জেনে নিন কিভাবে কার্ডের জন্য আবেদন করবেন এবং কি কি জিনিসের প্রয়োজন হবে আবেদনের ক্ষেত্রে।


ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করার আগে দরকারী উপাদান বা যোগ্যতা

আপনি যদি যুক্তরাজ্যের নাগরিক হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার নিম্নরূপ যোগ্যতা থাকতে হবে ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে। সেগুলো হচ্ছে :


১. প্রথমত, অবশ্যই আপনার বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।


২. আপনাকে অবশ্যই যুক্তরাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।


৩. আপনাকে অবশ্যই একজন পেশাদার ব্যক্তি হতে হবে অর্থাৎ আপনার বৈধ আয়ের উৎস থাকতে হবে।


৪. নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় বা তার বেশি থাকতে হবে, ধরুন বছরে ৭৫০০£ বা তার বেশি।


আরেকটি বিষয় যেটা মাথায় রাখা প্রয়োজন তা হলো, কার্ডের আবেদন সফল করার জন্য আপনার আর্থিক অবস্থান বা হিস্টোরি শক্তিশালী হওয়া খুব জরুরী।


তাই আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনার আর্থিক অবস্থান শক্তিশালী করুন এবং বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট খুলুন ও সুন্দর লেনদেন অব্যাহত রাখুন। যাতে ক্রেডিট কার্ড কোম্পানী তদারকি করে এসব তথ্য পায় আর আপনার উপর তাদের আস্থা জন্মায়।


কার্ডের জন্য মনোনীত হওয়ার কিছু বিশেষ পদক্ষেপ

উপরের উপাদান বা যোগ্যতাগুলো কার্ড পাওয়ার জন্য বাধ্যতামূলক ছিলো। তবে আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাজ রয়েছে যেগুলো বাধ্যতামূলক না হলেও আপনার কার্ডের আবেদন মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সেগুলো হচ্ছে :


১. ভোটার হওয়া : অনেকেই এমন আছেন যারা ১৮ বছর বয়স হওয়া সত্ত্বেও ভোটার হন না বা কার্ড পাওয়ার পরও ভোট দেন না।


এই কাজটি মোটেও করবেন না, অবশ্যই ক্রেডিট কার্ডের আবেদন করার আগে লিগ্যাল ভোটার হবেন। কারণ এটা আপনার নিজস্ব জাতীয়তা তুলে ধরে।


২. স্থায়ী আয়ের উৎস সৃষ্টি করা : আপনি হয়তো কোনো পার্ট টাইম চাকরির সাথে যুক্ত থাকতে পারেন। কিন্তু এটা আপনার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণ হতে পারে যেহেতু এখানে আপনার আয়ের স্থায়ী নিশ্চয়তা নেই।


তাই আবেদন করার আগে অবশ্যই স্থায়ী আয়ের বন্দোবস্ত করুন যাতে ব্যাংক আপনার লোন পরিশোধের ক্ষমতা আছে সেটা বিশ্বাস করতে পারে।


৩. ব্যাংক একাউন্ট খুলুন : আপনার ব্যাংক একাউন্ট থাকা, ডেবিট কার্ড বহন করা, সঞ্চয়ী হিসাব থাকা খুব দরকারী।


কারণ এগুলো থাকার অর্থ হচ্ছে আপনি আর্থিক লেনদেনে নিয়মিত এবং একজন দায়িত্বশীল গ্রাহক। আর দায়িত্বশীল গ্রাহককে কে না পছন্দ করে বলুন?


৪. বিল সময়ে পরিশোধ করুন : অবশ্যই নিজের ব্যাংকের কোনো লোন থাকলে সেটা নিয়মমতো পরিশোধ করবেন।


আপনার বিল পেমেন্টের হিস্টোরি যদি যথাযথ হয়, তাহলে আর্থিক প্রমাণ হিসাবে এটা আপনার কার্ড মনোনয়নে সহায়তা করবে।


প্রথম ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করা (শুধুমাত্র যুক্তরাজ্য)

প্রাথমিকভাবে আবেদন করার জন্য যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্রেডিট কার্ড রয়েছে, তবে সবচেয়ে সেরা হচ্ছে নির্দিষ্ট ধরনের কোনো ধারবাচক কার্ড ইস্যু করা।


আপনি প্রাথমিকভাবে এমন কার্ডই খুজবেন যেটার সুদ খুব কম হয় যাতে আপনার লোন পরিশোধে সুবিধা হয়। অথবা আপনি আপনার লাইফস্টাইলের সাথে ম্যাচ করে রিওয়ার্ড বেশি দেয় এমন কার্ডও নিতে পারেন।


তবে প্রথম কার্ড ব্যবহারকারী হিসাবে আপনার Credit Builder Card ব্যবহার করাই ভালো হবে। যুক্তরাজ্যে প্রথম কার্ডের আবেদনকারীদের জন্য এই কার্ড বিশেষ উপযোগী।


ক্রেডিট বিল্ডার কার্ড

যদি আপনি যুক্তরাজ্যের নাগরিক হিসাবে প্রথম ক্রেডিট কার্ডের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনি সবচেয়ে সহজে এই কার্ডের জন্যই মনোনীত হতে পারেন।


এই কার্ড নতুন গ্রাহকদের জন্য সেরা। আর যারা শক্তিশালী ক্রেডিট রেটিং বানাতে চান, তারা এই কার্ড অবশ্যই ব্যবহার করতে পারেন।


এই কার্ডগুলোর লিমিট সাধারনত ১০০ থেকে ২৫০£ এর ভিতর হয়ে থাকে আর বার্ষিক সুদ এর হার ২৪%-৫০% এর মধ্যে।


যদি আপনি এই কার্ড নিয়মমতো ব্যবহার করেন এবং সঠিক সময়ে দেনা পরিশোধ করেন, তাহলে আপনি শক্তিশালী ক্রেডিট হিস্টোরি বানাতে পারবেন আর নতুন উন্নতমানের কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।


কার্ডের জন্য আবেদন করার পূর্বে যেসব বিষয় মাথায় রাখা উচিত: (সবার জন্যেই)

প্রথম ক্রেডিট কার্ড যখন আপনি পাওয়ার আবেদন করবেন তখন অবশ্যই কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এগুলো মাথায় না রাখলে পরে আপনার জন্য এগুলো সমস্যাজনক হতে পারে। আসুন দেখে নেয়া যাক কি বিষয়গুলো :


১. অবশ্যই কম খরচ যুক্ত কার্ডের জন্য আবেদন করবেন। অর্থাৎ কেনাকাটায় অধিক সময় অব্দি সুদবিহীন খরচের সুবিধা এবং কম হার।


কারণ এগুলো সঠিক মাত্রায় না পেলে আপনার হয়তো দেনা পরিশোধে অসুবিধা দেখা দিতে পারে।


২. ব্যালান্স ট্রান্সফারের ফি সর্বনিম্ন হবে এমন কার্ডের জন্য আবেদন করুন। নতুবা আপনি যদি নিয়মিত এই সেবা ব্যবহার করেন আর চার্জ যদি অতিরিক্ত মাত্রায় কাটে, তাহলে আপনার আর্থিক অবস্থার অবনতি ঘটতে পারে।


৩. মানি ট্রান্সফারে কম চার্জ কাটার বিষয়টিও মাথায় রাখবেন। যাতে আপনাকে অধিক খরচ বা চার্জ বহন না করতে হয়।


৪. আপনি যদি রিওয়ার্ড প্রেমিক হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই উপরিউক্ত সুবিধার পাশাপাশি অধিক ক্যাশব্যাক বা পয়েন্ট দেয় এমন কার্ড বেছে নিতে পারেন। এটা সম্পূর্ন আপনার লাইফস্টাইল বা সৌখিনতার উপর নির্ভর করবে।


কী কী বিশেষ বিষয় মনে রাখা উচিত কার্ডের জন্য আবেদন করার পূর্বে?


১. সুদের হার : কার্ড ইস্যু করা এবং এর একটি মাসিক ও বার্ষিক সুদ থাকে। এই সুদের হার কতো, বার্ষিক নাকি মাসিক চার্জ হয়, আপনার আর্থিক অবস্থার সাথে যাবে কিনা এগুলো সব হিসাব করে আবেদন করবেন।


২. APR বা Annual Percentage Rate : এটি হচ্ছে মূল অর্থের উপর ধার্যকৃত সুদের হার যেটা আপনাকে বার্ষিক আকারে পরিশোধ করতে হয়। এই মাত্রা কতটুকু এবং আপনি এফোর্ড করতে পারবেন কিনা তা বুঝে শুনে আবেদন করবেন।


৩. ক্রেডিট লিমিট : ক্রেডিট লিমিট হচ্ছে কার্ডের মাধ্যমে আপনার অর্থ ব্যবহারের সীমারেখা। আপনি কোন ধরনের গ্রাহক, আপনার খরচ, আয় বুঝে সেই অনুযায়ী লিমিটের কার্ডের জন্য আবেদন করবেন যাতে আপনাকে অসামঞ্জস্যতায় পড়তে না হয়।


৪. ফি এবং হিডেন চার্জ : কার্ডের অতিরিক্ত ফি এর মাত্রা কেমন, হিডেন চার্জ আছে কিনা বা থাকলেও কেমন মাত্রায় এগুলো জেনে রাখাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।


ক্রেডিট কার্ডের আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান ও মাধ্যম

আপনি যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা হিসাবে অনলাইনে, ফোনে বা সামনাসামনি প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেও আবেদন করতে পারবেন। আপনাকে এর জন্য নির্দিষ্ট কাগজ পত্রাদি জমা করতে হবে বা তথ্যাবলী সঠিকভাবে পেশ করতে হবে।


সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে অনলাইনে আবেদন করা। কারণ এখানে আপনার একটি শর্ট এপ্লিকেশন পূরণের মাধ্যমে কয়েক মিনিটেই আপনি কার্ডের জন্য মনোনীত হয়ে যেতে পারেন।


আপনাকে আবেদনের জন্য উক্ত ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে এবং সেখানে নিম্নোক্ত তথ্যাবলী আবেদনপত্রে জমা দিতে হবে।


১. নাম এবং স্থায়ী ঠিকানা

২. জন্ম তারিখ

৩. নিজের পেশাগত অবস্থান এবং আয়ের সার্টিফিকেট

৪. ন্যাশনাল আইডি কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট এর কপি


এসব তথ্যাবলী ছাড়াও আরও অতিরিক্ত তথ্যের প্রয়োজন হতে পারে। যদি লাগে সেগুলো ফিল করে জমাদান করবেন। এরপর সবকিছু ঠিক থাকলে আপনি কার্ডের মনোনয়ন পেয়ে যাবেন।


শেষ কথা

সুপ্রিয় পাঠকগণ, এই ছিল যুক্তরাজ্যের ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বর্তমান সময়ে ক্রেডিট কার্ড এর জন্য আবেদনের সম্পূর্ন আলোচনা নিয়ে আমাদের আজকের পোস্ট।


আশা করি পোস্টটি আপনাদের সবার ভাল লাগবে এবং কাজে আসবে। আপনাদের আজকের পোস্ট সম্বন্ধীয় যেকোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকলে আমাকে জানাতে পারেন কমেন্ট বক্সে।


আমি যত দ্রুত সম্ভব উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। সবাইকে শুভকামনা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি!


আরও পড়ুনঃ বাংলাদেশের সেরা ক্রেডিট কার্ড সম্বন্ধে জেনে নিন তুলনামূলক আলোচনা (২০২১)