শরীরের বাড়তি ওজন? কি করবেন? জানুন সমাধান

একটা সময় থাকে যখন মানুষ তার ওজন বাড়ানোর জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। পাতলা আর ছিপছিপে শরীর মোটা তাজা করার জন্য আদা-জল খেয়ে লাগে। অনেকে বিভিন্ন রকমের ঔষধ পত্রও সেবন করে থাকে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না সময়মত। আবার আর একসময় যখন শরীরে মেদ জমে, ওজন আর পেট বেড়ে যায় অনেক, তখন ওজন কমানোর জন্য ঘুম হারাম করে দেয়। অনেক ঔষধ সেবন করা হয় ওজন কমানোর জন্য। ফলাফল ঠিক আগের মতই। অর্থাৎ অনেক কিছু করার পরও ওজন তার নিজস্ব গতিতেই বেড়ে চলে। কিভাবে বাড়তি ওজন কমানো যায়? এর কি কোন সমাধান নেই? আসুন জেনে রাখি কার্যকর ওজন কমানোর ফর্মুলা।

শরীরের বাড়তি ওজন? কি করবেন? জানুন সমাধান
শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত? এখনি সমাধান জেনে নিন

মানুষ অনেক সময় কি চায়? তা সে নিজেও জানে না। অনেক কিছু না চেয়েও পেয়ে যায় আবার শত চেষ্টা করেও কিছুই পায় না।


তবে না চেয়ে যদি কিছু পেয়েও যায়, সেটা যত দামীই হোক তার গুরুত্ব কিন্তু সে দিতে জানে না। আর শত চেষ্টা করে আংশিক কিছু পেয়ে গেলে, সেটা যত কম দামী হোক না কেন, তার কাছে তা মহামুল্যবান।


এমনই চরিত্র মানুষের। যাক সেসব কথা। বলছিলাম শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে কথা। নিয়মিত ডায়েট করে চলেছেন। সময় পেলে এক্সারসাইজও করা হয় অনিয়মিত হারে।


কিন্তু দিনে দিনে যদি আপনার পেট আর ওজন বেড়েই চলে তবে সহজে কি আর ঘুম আসে?


কত ডায়েট, কত ব্যায়াম আর কত ঔষধই না সেবন করা হচ্ছে, কিন্তু কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। তবে কি আর করা বাকী? কি করা উচিৎ?


শরীরের বাড়তি মেদ ঝড়ানোর জন্য অনেকেই অনেক উপায় অবলম্বন করে থাকেন। তবে দেখা যায় যে কোন উপায়ই দীর্ঘ দিন কেও পরিপালন করেন না। এতে ফলাফল হয় শুন্য!


অনেক ক্ষেত্রে মেয়েদের বেশি দেখা যায় পেটের মেদ কমাতে বেল্ট ব্যাবহার করতে। এটা মোটেও বিজ্ঞান সম্মত নয়।


যদি তাই হতো, তবে যেসব মেয়েরা টাইট জিন্সের প্যান্ট পড়েন, তাদের মেদ ঝড়ে যেত সহজেই। কিন্তু তা কি হয়? হয় না।


তাই আমার মতে, যে জিনিসটি সবসময় ব্যবহার করা সম্ভব নয়, সেটা না ব্যবহার করাই ভালো। কোমড়ের বেল্ট দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। করলে পেটের নরম অংশে স্থায়ী দাগ বসে যেতে পারে!


আর যেহেতু বেশি দিন তা ব্যবহার করা সম্ভব হয় না, সেহেতু ব্যবহার করা ছেড়ে দিলেই আগের চেয়ে আরও বেশি মেদ জমে যায়। যা কি না খুবই বিরক্তিকর।


তাই ভাবতে হবে যে, আপনি অজ্ঞতার কারণে পেটে বেল্ট বেঁধে দীর্ঘ মেয়াদে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন? না স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করবেন?


আজকাল ফেসবুক, মোবাইল অন করলেই দেখা যায় যে, অনভিজ্ঞরাও আপনার শরীরের মেদ ঝড়াতে চটজলদি ব্যায়ামের দাওয়াই দিয়ে দিচ্ছে।


প্রথম প্রথম এতগুলো দেখে কমবেশি অনেকেই আকৃষ্ট হতে থাকে। অনেকে আবার এড দেখে প্র‍্যাকটিসেও নেমে যায়। কিছুদিন চলে এই ধারা। কিন্তু পরে আবার বাদ। ফলাফল যা হবার তাই হয়। মেদ আর ঝড়ে না। বরং আগের চেয়েও বেড়ে যায়।


হা-হুতাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। তবে এই যে মেদ ঝড়ানো নিয়ে এত কথা, এত বিজ্ঞাপন, কাজের কাজ কি কিছুই তাহলে হবার নয়? হ্যাঁ, সিস্টেম মেনে যদি কিছু করা যায়, তবে অবশ্যই কিছু না কিছু কাজে আসবে।

জিম করার পর যেসব খাবার খাওয়া অত্যন্ত আবশ্যক

অধিক ব্যয়াম করা কি ক্ষতিকারক?

এখন যৌবনেও বাড়বে উচ্চতা! জেনে নিন কিভাবে

ভারী ওজন কমাতে কী করবেন?

অতিরিক্ত ওজনের ফলে শারীরিক কু-প্রভাব


তাহলে করণীয় কি?

আপনার এড দেখে বিভ্রান্ত হয়ে আপাদদৃষ্টিতে সহজ মনে হলেও বিজ্ঞানসম্মত নয়, এরুপ শারীরিক কসরত করা থেকে বিরত থাকুন। মনে রাখবেন ওগুলো স্থায়ী সমাধানের উপায় নয়। এবার আসি কাজের কথায়।


হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলুন

হ্যাঁ, আপনি যদি সত্যিকার অর্থেই শরীরের মেদ ঝড়াতে চান, তবে সকালে অন্তত ৩০ মিনিট আর বিকেলে ৩০ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এটা আপনার শরীরে মন্ত্রের মত কাজ করবে।


আপনি ১৫ দিনের মধ্যেই এর ভালো ফলাফল প্রত্যক্ষ করবেন। তবে মেদ কমে গেলে তা বন্ধ না করে প্রতিদিন ২০ মিনিট করে হাঁটাহাঁটর অভ্যাস রাখুন।


যদি তাও সম্ভব না হয় অন্তত ১০ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি অব্যাহত রাখুন। তবে ডায়াবেটিকের রোগী হলে অন্তত ৪৫ মিনিট করে হাঁটাহাঁটি অব্যাহত রাখতে হবে।


যদি হাঁটাহাঁটি করা সম্ভব না হয়?

যদি হাঁটাহাঁটি করা সম্ভব না হয়, যেদিন সম্ভব হবে না, সেদিন সকালে খালি পেটে জলর সাথে একটা আস্ত লেবুর রস খেয়ে ফেলুন। আশা করি নতুন করে চর্বি জমা বন্ধ হবে।


তবে সব ব্যায়ামের বড় ব্যায়ামই হলো হাঁটা। বসে বসে কিংবা শুয়ে শুয়ে শরীর বাঁকা করে, হাত সামনে পেছনে নিয়ে যত কসরতই করুন না কেন? হাঁটার ধারে-কাছেও নেই ওসব কসরত। এটা পারতপক্ষে বন্ধ না করাই ভালো। 


বেশি করে জল খান

মেদ ঝড়াতে অবশ্যই বেশি বেশি জল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ভাত, মাছ-মাংস কম। যতদূর সম্ভব ভাত, মাছ-মাংস কম খাওয়ার অভ্যাস করুন। রুটি, নিরামিষ, সালাদ বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করুন।


প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় খাবার খান

সকালে ৭.৩০ - ৮ টার মধ্যে,  দুপুর ১- ২ টার মধ্যে এবং  রাত- ৮ টার মধ্যে খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। রাতের খাবার কমপক্ষে দুই ঘন্টা পরে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলুন।


আজ এটুকুই।


ধন্যবাদ


আরও পড়ুনঃ বহুগুণী নিমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেই