হ্যান্ডসাম হওয়ার ৫ টি সেরা অভ্যাস সম্বন্ধে জেনে নিন
হ্যান্ডসাম হওয়ার মাধ্যমে সকল জায়গায়, সকল অবস্থানে সবার প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে চান? নিজেকে সবার চেয়ে আলাদা হিসাবে গড়ে তুলতে চান? তাহলে এখনি পড়ে ফেলুন আমাদের আজকের পোস্ট আর পেয়ে যান সম্পূর্ণ গাইডলাইন।

স্মার্ট হতে চাওয়া আমাদের মানবসমাজের প্রতিটি মানুষেরই লক্ষ্য বা আশা। সবাই চায় প্রতিটি জায়গায়, পদক্ষেপে নিজেকে সবার কাছে স্মার্ট হিসাবে তুলে ধরতে এবং সবাইকে নিজের দিকে আকৃষ্ট করতে। একটি অনুষ্ঠান হোক, বিয়ে হোক, অফিস হোক বা হোক কোনো অচেনা সুন্দরী মেয়ে, সবার কাছেই অল্প বয়সী ছেলেরা চায় স্মার্টনেস দেখাতে ও সবার আকর্ষণ কাড়তে।
এটা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। সবাই চায় যে অন্য সব মানুষের আকর্ষণ যেনো তার দিকে থাকে, তাকে যেনো স্মার্ট ও হ্যান্ডসাম লাগে। কিন্তু সবাই কি হ্যান্ডসাম বা ড্যাশিং হতে পারে? মোটেই না, সবাইই কমবেশি হ্যান্ডসাম হওয়ার চেষ্টায় থাকে, তবে প্রকৃত হ্যান্ডসাম ব্যক্তি হতে পারে গুটিকয়েক মানুষই।
আর তারাই হ্যান্ডসাম ও স্মার্ট হতে পারে, যারা এগুলো হওয়ার অভ্যাসগুলো চর্চা করে এবং সঠিকভাবে সমাজে চলাফেরা করে। অর্থাৎ বুঝতেই পারছেন, হ্যান্ডসাম হওয়া মুখের কথা নয় বা কোনো শর্টকাটও নেই হ্যান্ডসাম হওয়ার জন্য। তাই অবশ্যই আপনি যদি পরিশ্রম করতে পারেন, তাহলে আজকের পোস্ট শুধুমাত্র আপনার জন্যই।
আর যদি আপনি কোনো শর্টকাট খুজে থাকেন বা অলস হোন, তাহলে আপনার আর আজকের পোস্ট পড়ার প্রয়োজন নেই। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, আমাদের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।
স্মার্ট ও হ্যান্ডসাম হওয়ার ৫ টি সেরা অভ্যাস:
১. হস্তমৈথুন বন্ধ করুন
এই সমস্যাটি ইয়াং জেনারেশন এর একটি অন্যতম বড় সমস্যা। আর আপনারা জানেন কিনা জানিনা, অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করলে শরীরের শক্তি কমে যায়, চেহারার গ্লো নষ্ট হয়, মাজায় ব্যথা হয়, কাজের গতি হারিয়ে যায়, আত্নবিশ্বাস নষ্ট হয় এবং হজম শক্তিও খারাপ হয়ে যায়।
তাহলে বুঝতেই পারছেন যে, হস্তমৈথুন অতিরিক্ত আকারে করলে আপনার কত বড় বড় সমস্যা হতে পারে। শুধু শরীরেরই নয়, আপনার জীবন স্মার্ট ও হ্যান্ডসাম করে তুলতেও এই অভ্যাসটি আপনাকে আজীবন বাধা দেবে ও আপনার জীবন ধ্বংস করে দেবে।
তাই আপনি যদি এই বাজে অভ্যাসের স্বীকার হয়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই অবশ্যই এই অভ্যাসটি ধীরে ধীরে ত্যাগ করুন। তাহলে আশা করি হ্যান্ডসাম হওয়ার ক্ষেত্রে আপনি অনেকটাই এগিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: সমাজের সমালোচনাকে ইতিবাচক ভাবে নেওয়ার উপকারিতা
২. প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খান
আপনার স্মার্ট ও হ্যান্ডসাম হওয়ার একটি প্রধান বিষয় হলো, সুন্দর একটি বডি প্রস্তুত করা। আর এর জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক পরিমাণে খাওয়া দাওয়া করতে হবে। আর খাওয়া দাওয়ার ভিতর সবচেয়ে বেশি খেতে হবে আমিষ। কারণ আমিষ জাতীয় খাবার শরীর গঠনে সবচেয়ে বেশি প্রভাবদায়ক এবং শরীর এর মাসল প্রস্তুতে আমিষ সবচেয়ে বেশি সহায়তা করে।
আপনি যদি নিয়মিত আমিষ জাতীয় খাবার বেশি মাত্রায় বা সঠিক পরিমাণে খান, তাহলে দেখবেন শরীরে বেশি জোর পাবেন এবং দ্রুত স্বাস্থ্য সুন্দর হবে। আর সুন্দর স্বাস্থ্য অবশ্যই হ্যান্ডসাম হওয়ার প্রথম শর্ত, এটাতো নিশ্চয় সবাই জানেন, তাইনা?
৩. নিয়মিত ব্যায়াম করুন
খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করা, আপনার স্বাস্থ্যকে সুন্দর করে তুলবে। একবার ভাবুন, শুধু খেলে আর ঘুমালে কিন্তু আপনি শুধু মোটাই হতে থাকবেন, বডি সুন্দর হবেনা। ভুড়ি বাড়বে কিন্তু স্মার্ট হতে পারবেন না।
তাই যদি একটি সুন্দর ও আকর্ষণীয় ফিগার বানাতে চান, তাহলে অবশ্যই সুন্দর ফিগার বানাতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। অনেক ছেলে আছে যারা দেখতে সুন্দর না হলেও, সুন্দর ফিগার এর কারণে তাদের হ্যান্ডসাম লাগে। তাই আপনিও যদি এমন স্মার্ট হতে চান, তাহলে ব্যায়াম করুন নিয়মিত।
ব্যায়াম আপনার শরীর সর্বদা সুস্থ রাখে, শরীর সচল রাখে, মেজাজ ফুরফুরে করে এবং ক্ষুধা বাড়িয়ে তোলে যা স্বাস্থ্য গঠনে সম্পূর্ণ সহায়ক। আর অবশ্যই হ্যান্ডসাম হতেও ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: অতীতকে ভুলে বর্তমানে সুখে থাকার ৪ টি সেরা উপায়
৪. সঠিক মাত্রায় ঘুমান
ঘুম হচ্ছে খাবার ও ব্যায়ামের সহায়ক একটি কাজ যা আপনাকে সঠিক মাত্রায় করতে হবে যদি আপনি হ্যান্ডসাম হতে চান। সঠিক মাত্রার ঘুম আপনার খাবার হজমে সহায়তা করবে, শরীরকে রিল্যাক্স করবে এবং আপনার শরীর এর সকল ক্লান্তি দূর করে দেবে।
আর ব্যায়াম করলে শরীর কিছুটা ক্লান্তও লাগে, যার জন্য রাতে সঠিক মাত্রায় ঘুমানো খুবই দরকার। তাই অবশ্যই নিয়মিত ৬-৮ ঘন্টা রাতে ঘুমাবেন আর বেশি রাত জাগবেন না। এতে শরীর ও মন সুস্থ থাকবে যা হ্যান্ডসাম হতে পরোক্ষভাবে সহায়তা করবে।
৫. ড্রেস আপ এবং আচার আচরণ সুন্দর করুন
সবচেয়ে দরকারী ও শেষ কাজ হলো ড্রেস আপ ও আচরণ সুন্দর করা। আপনি যদি সুন্দর শরীর বানান ও ভালো খাবার অভ্যাস করেন, কিন্তু যদি আপনার ড্রেস আপ খারাপ হয়, ছেড়া জামা কাপড় পরেন, চুল উস্কো খুস্ক থাকে, চোখে পিচুটি লেগে থাকে, তাহলে কি আপনাকে স্মার্ট দেখাবে? মোটেও না, বরং সবাই আপনাকে ঘৃণা করবে ও হাসাহাসি করবে।
তাই অবশ্যই খাবার, ঘুম ও অন্যান্য অভ্যাস করার পাশাপাশি সুন্দর জামা কাপড় পরবেন, চুল, দাড়ি ঠিকমতো কাটবেন ও শরীরের বাহ্যিক যত্ন নেবেন, তাহলেই আপনাকে প্রকৃত হ্যান্ডসাম লাগবে।
আর আচার ব্যবহারের দিক থেকে অবশ্যই সামাজিক ও মার্জিত হোন, এতে প্রকৃত অর্থেই আপনি একজন সামাজিক ও হ্যান্ডসাম মানুষ হতে পারবেন ও সমাজে প্রতিটি মানুষের কাছে উপযুক্ত সম্মান পাবেন।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ভালোবাসা চেনার ৪ টি সেরা উপায় সম্বন্ধে জেনে নিন
উপসংহার
তো সুপ্রিয় পাঠকগণ, এই ছিল স্মার্ট ও হ্যান্ডসাম হওয়ার উপায় নিয়ে আমাদের আজকের পোস্ট। আশা করি পোস্টটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং স্মার্ট ও হ্যান্ডসাম হওয়ার জন্য কাজে আসবে। চাইলে পোস্টটি সেভ করে রাখতে পারেন ও শেয়ার দিতে পারেন।
এছাড়া যদি আজকের পোস্ট নিয়ে আপনাদের কোনো প্রশ্ন বা মতামত থাকে, তাহলে জানাতে পারেন কমেন্ট সেকশনে।
খুব দ্রুত আবার দেখা হবে সামনের কোনো নতুন পোস্টে, নিয়ে আসবো নতুন কোনো তথ্য আপনাদের কাছে। ততক্ষণ অব্দি, সবাইকে জানাই বিদায় ও শুভকামনা!